জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, যা হওয়ার হয়েছে এ বছরের মধ্যেই প্রকৃতপক্ষে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। তিনি বলেন, আমরা অতীত নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে চাই না। দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিন, এটাই জাতির মঙ্গল হবে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি। আমরা সরকারকে অনুরোধ জানাই দ্রুত একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। আমরা ৩০ ডিসেম্বরকে ভুলে যেতে চাই, এ নিয়ে বিতর্ক করতে চাই না। চাই না কোন হিংসা, সঙ্ঘাত-হানাহানি। সুষ্ঠু রাজনীতির ধারা ফিরিয়ে আনতে তিনি এ বছরের মধ্যেই নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানান। তিনি বলেন, এসরকারের কয়েক মাস হয়েছে। এখন আর দেরি করে লাভ নেই। তাড়াতাড়ি একটা প্রকৃতঅর্থে অংশগ্রহণমুলক নির্বাচিন দিন।
গণফোরাম সভাপতি বলেন, আমরা সংঘাত ও সংঘর্ষ চাই না। এতে দেশের অর্থনৈতিক শাসন ব্যবস্থা ও দেশের অনেক ক্ষতি হয়। কাল্পনিকভাবে নির্বাচনের আগের রাতে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় গিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করা প্রতারণার শামিল। এটা শুধু জনগণের সঙ্গেই প্রতারণা নয় বরং স্বাধীনতার শহিদদের সঙ্গেও প্রতারণা করা হয়। নির্বাচনের আগের রাতে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতা নেওয়ার জবাব জনগণ আদায় করবেই। তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর কে ভোট দিয়েছেন আমি তাকে খুজছি। তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত জনগনের কাছে জানতে চান তারা ঐদিন ভোট দিয়েছেন কি-না? তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বরে ভোটদান কারী ভাগ্যবান ব্যক্তিটিকে আমি খুঁজে বেরাচ্ছি,কিন্তু কোথাও পাচ্ছি না।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, অধ্যাপক আবু সায়ীদ, ড. রেজা কিবরিয়া, মেজর জেনারেল (অব.) আমসা আমিন, মোকাব্বির খান, অ্যাডভোকেট আলতাফ হোসেন, মহসিন রশীদ, অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, অধ্যাপিকা বিলকিস বানু, মোশতাক আহমেদ, আজমেরী বেগম ছন্দা, মোহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, খান সিদ্দিকুর রহমান, কাজী হাবিব প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন