অর্থনৈতিক রিপোর্টার : শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, টেকসই পর্যটন শিল্প গড়ে তুলতে জাতীয় শিল্পনীতি-২০১৬তে বিশেষ গুরুত্ব পাবে পর্যটন শিল্প। এ খাতকে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত বিবেচনা করা হয়েছে এবং সরকার আলাদা বরাদ্দ রেখেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন তিনি। তিন দিনব্যাপী এ মেলা চলবে ২১ মে পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীরা ৫০ টাকা ফি দিয়ে মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. অপরূপ চৌধুরী, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব স্বপন কুমার সরকার, আয়োজক সংস্থা বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্টের (বিএফটিডি) প্রেসিডেন্ট আবদুল মতিন, মেলার নির্বাহী পরিচালক রেজাউল ইসলাম।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, এ দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সহজেই দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করে। ফলে প্রতিবছর বাংলাদেশে ৪ লাখেরও বেশি পর্যটক আসছে এবং এ সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এ খাতে বছরে প্রায় ১ হাজার ৮২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হচ্ছে। আমাদের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃত। পর্যটন স্পট হিসেবে এগুলো অনেকের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। চীনের কুংমিং প্রদেশের মানুষ কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত দেখতে ভীষণভাবে আগ্রহী। নিজ দেশে সমুদ্র দেখার চেয়ে তারা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পরিদর্শন অপেক্ষাকৃত কম ব্যয়বহুল ও নিকটবর্তী মনে করেন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমরা পর্যটন শিল্পকে সুসংহত করতে পারি।
তিনি বলেন, পর্যটন শিল্প বাংলাদেশের একটি বিকাশমান শিল্পখাত। এ খাতে ইতোমধ্যে কয়েক লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে।
এ খাতে বিনিয়োগের পরিমাণও উল্লেখ করার মতো। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে উদীয়মান এ পর্যটন শিল্প খাতে ৩ লাখের বেশি দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন হবে। এ শিল্পখাত শুধু জনবল রফতানিই নয়, অভ্যন্তরীণভাবে বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। তাই এ খাতে দক্ষ জনবল তৈরির লক্ষ্যে এখন থেকেই বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে।
মেলায় বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, চীন, নেপাল, ভুটান, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, কম্বোডিয়া, সিঙ্গাপুর, মায়ানমার, ইন্দোনেশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১০০ পর্যটন শিল্প উদ্যোক্তা অংশ নিচ্ছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন