শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

এফআর টাওয়ারের ২৩ তলা অনুমোদনের নথি খুঁজে পেয়েছে রাজউক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০১৯, ১১:২৮ এএম

রাজধানীর বনানীতে অগ্নিকাণ্ডের কারণে আলোচিত ভবন এফ আর টাওয়ারের নকশা অনুমোদন নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এখন বলছে, ভবনটির পুরো নকশা অনুমোদনের একটি নথি তারা খুঁজে পেয়েছে। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার সংস্থার চেয়ারম্যান তাৎক্ষণিকভাবে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমকে ভবনটির ১৮ তলা পর্যন্ত অনুমোদন আছে বলে জানিয়েছিলেন। এদিকে ভবনটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেড দাবি করে আসছে, ২৩ তলার অনুমোদন নিয়েই তারা ভবনটি নির্মাণ সম্পন্ন করেছে এবং ভবনের ব্যবস্থাপনা পর্ষদকে তা যথাযথ উপায়ে হস্তান্তর করা হয়েছে।

রাজউকের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান শনিবার রাতে বলেন, ‘মূল নথিটি পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা একটি ছায়া নথি পেয়েছি। সেখানে ২৩ তলার অনুমোদনের একটি চিঠি আছে। সেই সঙ্গে একটি অনুমোদিত নকশাও পাওয়া গেছে। এখন এগুলো অন্যান্য রেজিস্টারের সঙ্গে মিলিয়ে দেখব।’

রাজউক ও রূপায়ণের বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে বিষয়টি অনুসন্ধান করা হয়। রূপায়ণের কর্মকর্তারা বলছেন, ২৩ তলা পর্যন্ত ইমারত নির্মাণের অনুমোদন নিয়েই কাজ করেছেন তারা। ৮ দশমিক ৮ কাঠা জমির ওপর বাণিজ্যিক এ ভবনের ২৩ তলার সঙ্গে দুটি বেইজমেন্টেরও অনুমোদন দিয়েছে রাজউক। ভবন নির্মাণের পর রূপায়ণ হাউজিংয়ের পক্ষ থেকে ২০০৮ সালের ৬ জুলাই ভবনটির মালিক সমিতিকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বুঝিয়েও দেওয়া হয়। তখন থেকে আজ পর্যন্ত ভবন ব্যবস্থাপনার কাজটি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনই করে আসছে।

এ সম্পর্কিত নথিপত্রে দেখা যায়, বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে ৮ দশমিক ৮ কাঠা জমির ওপর ১৯৯৬ সালে রাজউকের অনুমোদন নিয়ে ১৮ তলার নকশা অনুমোদন করা হয়। পরে ২০০৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর জমির মালিক এস এম এইচ আই ফারুকের কাছ থেকে আমমোক্তারনামা (পাওয়ার অব অ্যাটর্নি) বলে রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট ভবন সম্প্রসারণের জন্য রাজউকে আবেদন করে। ২০০৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিল্ডিং কন্সট্রাকশন (বিসি) কমিটির ৪৪তম সভায় ২৩ তলা পর্যন্ত ভবনের অনুমোদন দেওয়া হয়।

সেই অনুমোদন পাওয়ার পর রাজউকের তৎকালীন অথরাইজড অফিসার একই বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি দুটি বেইজমেন্ট ও ২৩ তলা ইমারত নির্মাণের অনুমোদনের নথিতে স্বাক্ষর করেন। এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি (রাজউক/নঅঅজ৩সি-১৫২৪/৪/২৭১/২৩/২/০৫) স্মারকে অনুমোদনের একটি চিঠি ইস্যু করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
mamun ১ এপ্রিল, ২০১৯, ১:০৩ পিএম says : 0
i think will be more information find out against নিয়ন্ত্রক সংস্থা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন