সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

বিস্কুট শিল্পের বিকাশে নীতিমালা প্রণয়নের দাবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

দেশের উদীয়মান বিস্কুট এবং ব্রেড শিল্পের টেকসই বিকাশে একটি নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ অটো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড মেনুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। তারা বলেন, এ লক্ষ্যে সংগঠনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রেরণ করা হয়েছে। নীতিমালাটি চূড়ান্ত হলে, খাদ্য শিল্পের গুণগতমান উন্নয়নের পাশাপাশি এ শিল্প খাতে শৃক্সক্ষলা বজায় রাখা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ অটো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড মেনুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা গতকাল বৃহস্পতিবার শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সাথে বৈঠককালে এ দাবি জানান। শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে সংগঠনের সভাপতি মো. শফিকুর রহমান ভূঁইয়া, উপদেষ্টা শরীফ এম আফজাল হোসেন, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো. জামাল রাজ্জাক, মোবারক আলী, মো. নাজিম উদ্দিন, মাজহারুল হাসান খানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে নিরাপদ খাদ্য শিল্পখাত গড়ে তোলার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ সময় বিস্কুট এবং ব্রেড শিল্পের গুণগত মানোন্নয়ন, পণ্য বৈচিত্র্যকরণ, রফতানি বৃদ্ধিসহ অন্যান্য বিষয় আলোচনায় স্থান পায়। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাজারে জনপ্রিয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ব্রেড ও বিস্কুটের নাম নকল করে প্রায় একই নামে কিংবা কাছাকাছি নামে ট্রেডমার্ক নিবন্ধন সংগ্রহ করে নি¤œমানের খাদ্যপণ্য বাজারজাত করা হচ্ছে। এর ফলে মূল উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। একই সাথে ভোক্তাসাধারণও নি¤œমানের পণ্য কিনে প্রতারিত হচ্ছেন। তারা ট্রেডমার্কস্ নিবন্ধন এবং পণ্য বাজারজাতকরণের অনুমতি প্রদানের ক্ষেত্রে বিষয়টি সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার পরীক্ষার জন্য ডিপিডিটি এবং বিএসটিআই’র প্রতি নির্দেশনা দিতে শিল্পমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, পরিবেশবান্ধব কারখানা ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা বর্তমান সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। খাদ্যের গুণগতমানের ক্ষেত্রে সরকার কোনো ধরনের ছাড় দেবে না। জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের খাদ্যপণ্য নকলের অসাধু প্রবণতারোধে শিল্প মন্ত্রণালয় কঠোর অবস্থান নেবে। তিনি অভ্যন্তরীণ বিশাল বাজারের পাশাপাশি রফতানির সুযোগ কাজে লাগাতে বাংলাদেশে বিশ্বমানের খাদ্য শিল্প গড়ে তোলার পরামর্শ দেন। একই সাথে তিনি হালাল খাদ্যের রফতানি বাড়াতে হালাল সার্টিফিকেশন সম্পন্ন ব্রেড, বিস্কুটসহ অন্যান্য খাদ্যপণ্য উৎপাদনের তাগিদ দেন।
পরে বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসর অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সভাপতি এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সীর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সাথে সাক্ষাৎ করেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাৎকালে তারা কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের সম্ভাবনা ও সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প খাত থেকে বাংলাদেশ সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে। এ শিল্প খাতের উদ্যোক্তারা বিশ্বের ১৪৪টি দেশে বাংলাদেশি কৃষিজাত পণ্য রফতানি করছে। প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা পেলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এ শিল্প খাতে ১০ হাজার কোটি টাকা রফতানি সম্ভব হবে। তারা প্রক্রিয়াজাত খাদ্য পরীক্ষার জন্য বিএসটিআই ল্যাবরেটরির সক্ষমতা বৃদ্ধির সুপারিশ করেন। জবাবে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের প্রসারে সম্ভব সব ধরনের নীতি সহায়তা অব্যাহত রাখবে। এ শিল্পখাতে রফতানি বাড়াতে উদ্যোক্তাদের নগদ প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। প্রক্রিয়াজাত খাদ্য পরীক্ষার জন্য বিএসটিআই গবেষণাগারের সক্ষমতা বৃদ্ধির সুপারিশকে তিনি স্বাগত জানান। এ খাতের উদ্যোক্তাদের চাহিদামাফিক বিএসটিআই-এর গবেষণাগারে নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে বলে তিনি প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করেন।
বাপার সাধারণ সম্পাদক ইকতাদুল হক, অর্থ সম্পাদক গোলাম শরীফ চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য এম এ ছাত্তারসহ সংগঠনের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন