রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার সিলেটের বিয়ানীবাজার ক্যান্সার ও জেনারেল হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে রোগীর স্বজনরা। এ সময় তারা হাসপাতালের মূল্যবান জিনিসপত্রও ভাঙচুর করে। হামলায় হাসপাতালের নার্সসহ কয়েকজন আহত হন। খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃত আজিম উদ্দিনের লাশ তার স্বজনেরা বাড়ি নিয়ে গেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গত ২ এপ্রিল মাথিউরা ইউনিয়নের আজিম উদ্দিন (৬৫) শ্বাস কষ্ট নিয়ে বিয়ানীবাজার ক্যান্সার ও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে মারা যান।
আজিম উদ্দিনের জামাতা আব্দুল ওয়াহিদ টিপু বলেন, ২ এপ্রিল তার শ্বশুড়কে বিয়ানীবাজার ক্যান্সার ও জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করান। আজিম উদ্দিন শ্বাস কষ্টে ভুগছিলেন উল্লেখ করে টিপু বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভালো চিকিৎসা দেওয়ার আশ^াস দিয়ে তাকে ভর্তি করান। টিপু অভিযোগ করে বলেন, যে চিকিৎসক দিয়ে তার শ্বশুড়কে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে তিনি এই রোগের চিকিৎসক নন। তিনি শিশু রোগ চিকিৎসক। বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র আব্দুস শুকুর জানান, বিয়ানীবাজার ক্যান্সার হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর খবর শুনে তিনি এখানে এসেছেন। তিনি বলেন, সঠিক চিকিৎসার অভাবে আজিম উদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে। মেয়র অভিযোগ করে বলেন, একটি হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ চিকিৎসা ব্যবস্থা ও চিকিৎসক না থাকার পরও কিভাবে এই হাসপাতালে রোগী ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। মেয়রের মতে, প্রবাসীদের অর্থে পরিচালিত এই হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থায় প্রচুর ফারাক রয়েছে। তিনি বিষয়টি তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।
ডা. কবিরের মতে, বিয়ানীবাজার ক্যান্সার ও জেনারেল হাসপাতালে কোন রোগীকে জরুরী সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা নাই। এ রকম কোন সামগ্রীও এখানে নেই। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার সরঞ্জাম দিয়েই তারা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এ অবস্থায় এখানে রোগী কেন ভর্তি করে চিকিৎসা দিচ্ছেন এ প্রশ্নের কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেন নাই।
এদিকে হাসপাতালে হামলা ও ভাংচুরের খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র ছাড়াও মাথিউরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিহাব উদ্দিন, ওসি অবনী শংকর করসহ সমাজের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি সামাল দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন