বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

বিরলের লাল টসটসে লিচু এখন বাজারে

প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

দিনাজপুর অফিস : বাজারে উঠতে শুরু করেছে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার অনন্য স্বাদের লাল টসটসে লিচু। যতই দিন যাচ্ছে ততই যেন ব্যস্ত হয়ে উঠছে লিচুচাষী, ব্যবসায়ী, ক্রেতা-বিক্রেতা ও ফরিয়ারা।
তবে আবহাওয়া অনুক‚লে না থাকার কারণে এসব লিচু বাজারজাত করতে অনেককে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অন্য রকম মিষ্টি আর বর্ণিল মনকাড়া দৃষ্টিনন্দন রসে টইটুম্বুর বিরলের বিভিন্ন জাতের লিচুর মধ্যে রয়েছে বেদানা, বোম্বাই, মাদ্রাজি, চায়না থ্রি ও কাঁঠালি জাতের লিচু। পর্যায়ক্রমে এসব লিচু বাজারে আসবে। প্রতিটি বাগানে বাম্পার ফলন হলেও লিচু সংরক্ষণে কোনো হিমাগার না থাকায় লিচু নষ্ট হওয়ার ভয়ে প্রতিবারের মতো এবারেও শঙ্কায় রয়েছে লিচু চাষী ও ব্যবসায়ীরা।
দিনাজপুর জেলার ১৩টি উপজেলায় কম-বেশি লিচুর আবাদ হলেও উৎকৃষ্ট মানের লিচু জন্মায় বিরল উপজেলার মাধববাটী ও সদর উপজেলার মাশিমপুর এলাকায়।
এ এলাকা দুটির লিচু সুস্বাদু ও উন্নত মানের হওয়ার কারণে এর চাহিদা দেশজুড়ে। বিরল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত উপজেলার ২ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে লিচুর বাগান রয়েছে। এসব লিচু বাগান থেকে গড়ে প্রায় প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ লাখ লিচু রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় কিনে নিয়ে যায় লিচু ব্যবসায়ীরা।
লিচু এ উপজেলায় একদিকে যেমন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে, অন্যদিকে এ মৌসুমে কর্মসংস্থানের সৃৃষ্টি হয় প্রায় ২০ হাজার নারী-পুরষ শ্রমিকের, যা দিয়ে সংসারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনে তারা। মৌসুমে এই লিচু বিক্রি করে সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ, বিয়ের খরচ, কাপড়চোপর এমনকি চিকিৎসা খরচ বহন করে এই অঞ্চলের কৃষক পরিবার।
কিন্তু এই অর্থকরী ফসল সংরক্ষণ এবং দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় বাজারজাত করার মতো সংরক্ষণাগার এ পর্যন্ত এলাকায় স্থাপন করা হয়নি। ফলে সংরক্ষণের অভাবে প্রতিবছর পচে নষ্ট হয়ে যায় শত শত টন লিচু। তাই লিচু উৎপাদনকারীরা বিরল উপজেলায় একটি লিচু সংরক্ষণাগার, গবেষণা কেন্দ্র ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন