শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

তুরস্ককে আরো এস-৪০০ দেবে রাশিয়া

বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর হতে যাচ্ছে ইস্তাম্বুল

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

রাশিয়া আরও এস-৪০০ আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা তুরস্ককে হস্তান্তর করতে প্রস্তুত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন, ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ। বুধবার তিনি রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্র ভূমি থেকে ভূমি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা আঙ্কারাকে সরবরাহ করতে চায়, তবে তুরস্ক অস্বীকৃতি জানানোর পরেই দিমিত্রি পেসকভ এক বিবৃতিতে তুরস্ককে ইঙ্গিত করে বলেন, রাশিয়া থেকে আরও এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা সরবরাহের জন্য আদেশ করতে পারে। দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় বলেন, রাশিয়া প্রস্তুত, রাশিয়ার সক্ষমতা রয়েছে, প্রযুক্তিগত দক্ষতা রয়েছে এবং অবশ্যই, রাশিয়া এই সামরিক-প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রসারিত করার সুযোগ খুঁজছে। এটিই সাধারণ প্রক্রিয়া। ওয়াশিংটন এস-৪০০ আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা রাশিয়া থেকে ক্রয় করতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। এ ছাড়া গত সপ্তাহে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ হস্তান্তরের বিষয়টি বাতিল করেছে। মার্কিন কর্মকর্তারা তুরস্ককে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষার পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা কিনতে প্রস্তাব দিয়েছে। এদিকে তুরস্ক ওয়াশিংটনের প্রস্তাব নাকচ করে যুক্তরাষ্ট্রকে বলছে, প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থার জন্য অন্য ক্রেতা খুঁজতে। রাশিয়ার প্রযুক্তি চুক্তি স্থানান্তরসহ এটি ভালো প্রস্তাব। প্রসঙ্গত, তুরস্ক ১৯৯৯ সালে ১০০টি এফ-৩৫ জঙ্গিবিমান কেনার জন্য আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি করেছে। এর মধ্যে গত বছরের ২২ জুলাই প্রথম চালান হিসেবে একটি বিমান হস্তান্তর করে আমেরিকা। ন্যাটোভুক্ত দেশ তুরস্ক, আমেরিকা নেতৃত্বাধীন কয়েকটি দেশের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান তৈরি ও কেনার প্রকল্পে যুক্ত রয়েছে। অন্যান্য দেশগুলো হচ্ছে ইংল্যান্ড, ইতালি, নেদারল্যান্ড, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নরওয়ে এবং ডেনমার্ক। অপর এক খবরে বলা হয়, ইস্তাম্বুুল বিমানবন্দর দিয়ে বছরের প্রথম তিন মাসে তিন লাখ ১৮ হাজার ১৮২ যাত্রী উঠানামা করেছেন। বিমানবন্দরটি ফ্লাইট ও যাত্রী উঠানামা ক্রমাগত বাড়ছেই। আর এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর হতে যাচ্ছে এটি। আতাতুর্ক বিমানবন্দর সব কার্যক্রম এটিতে স্থানান্তরের আগেই যাত্রীদের এ সংখ্যা নিরুপণ করা হয়েছে। ইস্তাম্বুুল বিমানবন্দরের বড় ধরনের যাত্রা শুরুর পরপরই এটিতে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ফ্লাইটের সংখ্যা ব্যাপকহারে বাড়ছে। ডেইলি সাবাহর খবরে বলা হয়েছে, সাড়ে ৭৬ বর্গমিটার জায়গাজুড়ে বিমানবন্দরটি সব ধরনের কাজ শেষ হলে এটাই হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর। গত বছরের ২৯ অক্টোবর তুরস্ক প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ৯৫তম বার্ষিকীতে এটির উদ্বোধন করা হয়। দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান এটির উদ্বোধন করেন। রাষ্ট্রীয় বিমান কর্তৃপক্ষ ডিএইচএমআই বলছে, এই বিমানবন্দর দিয়ে প্রথম তিন মাসে এক লাখ ৯৩ হাজার ৮১৬ যাত্রী অভ্যন্তরীণ রুটে যাতায়াত করেছেন। আর আন্তর্জাতিক রুটের যাত্রী ছিলেন এক লাখ ২৪ হাজার ৩৬৬ জন। যার মধ্যে এক হাজার ৪১৩টি ঘরোয়া ও এক হাজার ১৫২টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ছিল। ইয়েনি শাফাক, ডেইলি সাবাহ।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
Magfur Rahman Jannat ১১ এপ্রিল, ২০১৯, ১:৫৯ এএম says : 0
যেখানে আমেরিকার মাস্তানি।সেখানেই প্রতিরোধ
Total Reply(0)
Rafim Hasan ১১ এপ্রিল, ২০১৯, ১:৫৯ এএম says : 0
We should buy it to put pressure on neighbor countries ....
Total Reply(0)
Azharul Islam ১১ এপ্রিল, ২০১৯, ২:০১ এএম says : 0
এক বিশ্ব সিকিউরিটি বাহিনী| এক বিশ্ব গোলা, বারুদ, পরমানু| টান টান উত্তেজনা| কোন উৎপাদশীলতার সাথে জড়িত নয় কেউ|কোটি কোটি মানুষ খেতে পায়না| অথচ এদের ভোগ বিলাসিতা চরমে |এসবের আর্থিক যোগান আসে কোত্থেকে?
Total Reply(0)
Abdullah All Muhib ১১ এপ্রিল, ২০১৯, ২:০২ এএম says : 0
alhamdulillah
Total Reply(0)
তামিম ১১ এপ্রিল, ২০১৯, ৯:০৫ এএম says : 0
এটা খুবই ভালো খবর
Total Reply(0)
Sabbir Hassan ১১ এপ্রিল, ২০১৯, ৯:০৬ এএম says : 0
তুরস্ক মুসলীম দেশগুলোকে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে এটা সকলের প্রত্যাশা
Total Reply(0)
ash ১১ এপ্রিল, ২০১৯, ৭:৩১ পিএম says : 0
ABSULUTELY BANGLADESH NEED IT ! OTHER THEN NEVAL SHIPS,EVEN SUBMARINE
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন