ফেনীর সোনাগাজীতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা মাদরাসাছাত্রী নুসরাতের সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। সোমবার বেলা ১১টায় ঢাবির অপরাজেয় বাংলায় ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা’ ব্যানারে তারা প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ করেন।
সমাবেশে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে নুসরাত হত্যার ঘটনাটি বিচারে দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি জানানো হয়।
ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে এই ঘটনাগুলো ঘটছে। এগুলোর বিচার করতে আমাদের রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঘটনাগুলো যারা ঘটাচ্ছেন তারা রাজনীতিকভাবে প্রভাবিত। আমি একটি কথাই বলতে চাই-ধর্ষকের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে নেই। সে ধর্ষক, সে নিপীড়নকারী, সে নির্যাতনকারী-এটাই তার পরিচয়।’
সমাবেশে বক্তারা বলেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটলে স্থানীয় ক্ষমতাবানদের প্রভাব থাকে, তাদের যেন বিচারের আওতায় আনা যায়। পাশাপাশি দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে নুসরাত হত্যার বিচার করার দাবি জানান তারা।
বিক্ষোভে ঢাবি শিক্ষক ক্রিমিনোলজি বিভাগের জিয়া রহমান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের আইনুল ইসলাম, সানজিদা আক্তার নিরা, আয়েশা বানু, ফাতেমা ইয়াসমিন, শামীম মোরসালিন, আবুল মনসুর আহমেদ ছাড়াও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ নুসরাত জাহান রাফিকে নিজ কক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে। এ ঘটনায় রাফির মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন।
গত ৬ এপ্রিল (শনিবার) সকালে রাফি আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যান। এ সময় মাদরাসার এক ছাত্রী তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করছে- এমন সংবাদ দিলে তিনি মাদরাসা বিল্ডিংয়ের চার তলায় যান। সেখানে মুখোশ পরা চার-পাঁচজন তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। রাফি অস্বীকৃতি জানালে তারা তার গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
১০ এপ্রিল (বুধবার) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুসরাত।
ভারতীয় গোশত-শস্য নিষিদ্ধ করলো কুয়েত
ভারতীয় গোশতে ব্যাকটেরিয়া এবং খাদ্যশস্যে অতিমাত্রায় কীটনাশক থাকায় তা আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কুয়েত। সেইসঙ্গে ব্রিটেন ও আমেরিকান খাদ্যপণ্য আমদানিতেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটি।
কুয়েতের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের মহাসচিব আব্দেল আল-সুয়েত এক বিবৃতিতে বলেছেন, ভারতের ‘এএলএম’ ব্রান্ডের ‘অস্থিবিহীন মহিষের গোশত’ আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশ করেছে তার কমিটি। কারণ ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর প্রক্রিয়াজাত করা ওইসব গোশত ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত।
তিনি বলেন, এ ছাড়া ‘জাই আশাপুরা’ ব্রান্ডের ধনে এবং ‘ফাতিন’ ট্রেডমার্কের গুড়া মরিচ ও হলুদ এবং ‘হাই-টি’ গ্রুপের ঘণ কালো চা এবং ‘জয়া রাইস’ গ্রুপের চাল ও খাদ্যশস্য অতিরিক্ত কীটনাশক থাকার কারণে আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ওই কমিটি ব্রিটেনের ‘ওয়েটরোজ’ ব্রান্ডের চকোলেট চাঙ্ক এবং মার্কিন ‘ওরল্যান্ড’ গ্রুপের ক্যালিফোর্নিয়ার আঙ্গুর পাতা আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
তবে বিট্রেন কিংবা মার্কিন পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে কিছু উল্লেখ করেনি কুয়েতি কর্তৃপক্ষ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন