রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলার ১১০তম আসর বৃহস্পতিবার

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৩ এপ্রিল, ২০১৯, ৩:১৯ পিএম

লালদীঘি ময়দানে ঐতিহ্যবাহী আবদুল জব্বারের বলীখেলা আগামী ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে। এটি হচ্ছে এবারের ১১০তম আসর। খেলার স্পন্সর হচ্ছে গ্রামীণফোন। এ বলীখেলাকে ঘিরে বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা। এ মেলা শেষ হবে শুক্রবার। বলীখেলার উদ্বোধন করবেন সিএমপি পুলিশ কমিশনার মোঃ মাহাবুবর রহমান। খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ করবেন প্রধান অতিথি সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এবারের বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন প্রাইজমানি ২০ হাজার টাকা ও ট্রফি এবং রানার্স আপ ১৫ হাজার টাকা ও ট্রফি পাবে। এছাড়া প্রথম রাউন্ডের বিজয়ী ৪০ জন বলীর প্রত্যেকে এক হাজার টাকা ও ট্রফি পাবে।
ইতোমধ্যে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হরেক পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন বিক্রেতারা। মহানগরীর প্রাণকেন্দ্রে এ মেলাকে ঘিরে এখন উৎসবের আমেজ। শত বছরের ঐতিহ্য ধরে রেখে নিজেদের সুবিধামত জায়গা নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। প্রতিবারের ন্যায় এবারও লালদীঘি মাঠের মাঝখানে তৈরি করা হবে প্রায় ২০ ফুট বাই ২০ ফুট চতুর্ভুজ আকৃতির বলীখেলার মঞ্চ। মাটি থেকে প্রায় ৫ ফুট উপরে বালি দিয়ে তৈরি করা হবে এ মঞ্চ। মঞ্চের চারিদিকে রশি দিয়ে ঘিরে দেয়া হবে। বলীখেলায় রেফারির দায়িত্ব পালন করবেন সাবেক ফুটবলার ও সাবেক কাউন্সিলর এম এ মালেক।
উল্লেখ্য, ১৯০৯ সালের ১২ বৈশাখ ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে বাঙালিদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য নগরীর বদরপাতি এলাকার আবদুল জব্বার সওদাগর লালদীঘি মাঠে সর্বপ্রথম বলীখেলার সূচনা করেছিলেন। তারপর থেকে হাঁটি হাঁটি পা পা করে ঐতিহাসিক জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা উপমহাদেশে বাঙালীর ইতিহাস-ঐতিহ্য, সাংস্কৃতিক ও অহংকারে পরিণত হয়েছে। আবদুল জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা এখনও ধরে আছে তার কীর্তিময় ইতিহাস। তাই বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় লোকজ উৎসব হিসেবে এটাকে চিহ্নিত করা যায়।
এছাড়া বলীখেলাকে ঘিরে তখন থেকেই চলে আসছে তিনদিনের বৈশাখী মেলা যা আজও অব্যাহত আছে। প্রতিবারের ন্যায় এবারও মেলায় দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আগত দোকানিরা লালদীঘির আশপাশ এলাকা ছাড়াও সিনেমা প্যালেসের মোড়, আন্দরকিল্লার মোড় এবং কোতোয়ালীর মোড় থেকে কেসিদে রোডসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় শত শত পসরা সাজিয়ে বসেছেন। লালদীঘির আশপাশ এলাকায় রাস্তার দু’ধারে অস্থায়ীভাবে বসেছে অসংখ্য স্টল। মেলায় হাত পাখা, ফুলের ঝাড়–, দা, বটি, ছুরি, পিঠা তৈরির পিঁড়ি, বেলচা, কারুকার্যখচিত আকর্ষণীয় মাটির ব্যাংক, ফুলের টব, ফুলদানী, শোপিচ, শীতল পাটি, গাছের চারা, বাঁশ ও বেতের তৈরি মোড়া, বাচ্চাদের খেলনা, বাঁশি, মুড়ি-মুড়কি, ফলমূল আর গহনা পাওয়া যাচ্ছে। আরো আছে চুড়ি-ফিতা, রঙিন সুতা, হাতের কাঁকন, নাকের নোলক, ঢোল, কাঠের তৈরি পুতুল, নকশী কাঁথা, খাঁচার পাখি ও মাটির কলস। ইতোমধ্যে ফুল ও ফলজ গাছ নিয়ে এসেছে অনেক নার্সারী, সঙ্গে রয়েছে মাটির টব, গাছের সার ও বীজ। সারাবছর মহানগরসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের মানুষ অপেক্ষার প্রহর গুনে এই মেলার জন্য। তারা বছরের গৃহস্থালি সামগ্রী এই মেলা থেকে সংগ্রহ করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন