প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পথে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, ২৪ এপ্রিল উখিয়ার পার্শবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের চাকমাপাড়া নামক এলাকায়। কাঠ চিরাইকে কেন্দ্র করে স’মিলের স্টাফ ও মালিকপক্ষের সাথে তর্কাতর্কির জের ধরে এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
নিহত যুবক উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের ভালুকিয়া লম্বাঘোনা গ্রামের মৃত ভবতোষ বড়ুয়ার ছেলে ইমন বড়ুয়া (৩৫)। ইমনের মা পুতুল রানী বড়ুয়া উখিয়ার রত্মাপালং ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের টানা ৬ বারের নির্বাচিত মেম্বার।
ইমন বাড়িভিটার রোপিত গাছ চিরাই করতে ঘুমধুম ইউনিয়নের সাবেক ইউ.পি চেয়ারম্যান দীপক বড়ুয়ার মালিকানাধীন স’মিলে যায়। স’মিলে জনৈক মিস্ত্রীর সাথে তুচ্ছ বিষয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে স’মিল মালিকের ছোট ভাই সমীরণ বড়ুয়া দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। ইমনকে বেদড়ক পিটুনি দেয়।
গুরুতর আহত অবস্থায় ইমনকে প্রথমে উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে আমিরাবাদ এলাকায় তার মৃত্যু হয়।
সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ইমন বড়ুয়া রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা ইউপি সদস্য পুতুল রানী বড়ুয়ার একমাত্র ছেলে।
এখন থেকে ২৫ বছর আগে ইমনের পিতা ভবতোষ বড়ুয়াকেও সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে হত্যা করেছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন