খাদ্যে ভেজালকারী মা, মাটি ও মানুষের শত্রু বলে মন্তব্য করেছেন ন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি (এনএফএস) নামে একটি সামাজিক সংগঠনের নেতারা। এ সময় তারা খাদ্যে ভেজালকারীদের সামাজিকভাবে বয়কট করার আহ্বান জানান। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘পবিত্র রমজান মাসে ভেজালমুক্ত খাদ্য চাই’ শিরোনামে মানববন্ধনে বক্তার এ কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, যে সকল অসাধু, লোভী ব্যবসায়ী খাদ্যে ভেজাল দেয় তারা মা, মাটি ও মানুষের শত্রু। তারা দেশ, জাতি ও মানবতার শত্রু। খাদ্যে ভেজালকারী ব্যক্তি ও তাদের প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। খাদ্যে ভেজাল মিশিয়ে পুরো জাতিকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে এই অসাধু লোভী দুষ্ট চক্রটি। ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত হোটেল রেস্টুরেন্ট বা নামিদামি ব্রান্ডের পণ্যও এখন ভেজালমুক্ত নয়।
সংগঠনের নেতারা বলেন, ভেজাল আজ আমাদের একটি জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এই সমস্যা রোধে আমাদের এক সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে। খাদ্যে ভেজালকারীদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। সরকারের পাশাপাশি জনগণ সাধারণকেও সচেতন হতে হবে। জনগণ যদি সচেতন হয়, তাহলে আমাদের সমাজে কেউ খাদ্যে ভেজাল দিতে পারবে না। তারা বলেন, এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, শুধু ভেজাল খাদ্য গ্রহণের ফলে দেশে প্রতি বছর প্রায় ৩ লাখ লোক ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লাখ, কিডনি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ। এ ছাড়া গর্ভবতী মায়ের শারীরিক জটিলতাসহ গর্ভজাত বিকলাঙ্গ শিশুর সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। এই পরিসংখ্যানটি আমাদের ভাবিয়ে না তুলে পারে না।
সংগঠনের নেতারা বলেন, খাদ্যে ভেজালকারী প্রতিষ্ঠানের শুধু জরিমানা করলে হবে না, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে খাদ্যে ভেজাল দেয়া এবং ভেজাল খাদ্য বিক্রির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ১৪ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তা প্রয়োগ করার কোনো নজির নেই। খাদ্যে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে এই আইনের প্রয়োগ করতে হবে। ভেজাল রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির (এনএফএস) সভাপতি রাহাত হুসাইনের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ইমরান হোসাইনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফেয়ী, এস এম মাসুদ কায়সার, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আহসান হাবিব রিপন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন