বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

গুলিস্তানে বিস্ফোরিত ককটেল অনেক শক্তিশালী ছিল সাংবাদিকদের ডিএমপি কমিশনার

আইএসের দায় স্বীকার বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে : পল্টন থানায় মামলা দায়ের। তদন্তে পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম


গত সোমবার গুলিস্তানে যে ককটেলটি বিস্ফোরিত হয়েছিল, সেটি কোনো সাধারণ ককটেল নয়, অনেক শক্তিশালী। এর সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক না কেন, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। আইএসের দায় স্বীকার করার বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গুলিস্তানে ককটেল বিস্ফোরণে তিন পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পল্টন থানার এসআই ওবায়দুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয়দের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় মামলাটি (নম্বর-৫৩) দায়ের করেন। ওই ঘটনার তদন্তে পল্টন থানার পাশাপাশি ডিবি পুলিশ, কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও সিআইডি কাজ করছে। আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
মামলার বাদী এসআই ওবায়দুর রহমান বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে গুলিস্তানে বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে ট্রাফিক কনস্টেবল নজরুল ইসলাম, লিটন ও কমিউনিটি পুলিশ সদস্য মো. আশিককে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। এরপর তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। মামলায় সন্ত্রাসী কর্মকাÐের অভিযোগ আনা হয়েছে অজ্ঞাত পরিচয়দের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার তদন্তে পল্টন থানার পাশাপাশি ডিবি পুলিশ, কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও সিআইডি কাজ করছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।
ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, উগ্রবাদ ইস্যুকে কেন্দ্র করে কোনো মহল উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এই কাজ করছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইএসের দায় স্বীকারের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত রয়েছে কি না, সেটিও দেখা হচ্ছে।
আইএস এই ঘটনার দায় স্বীকার করে পোস্ট দিয়েছে এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আইএস বা অন্য কেউ প্রতারণামূলক এ ধরনের পোস্ট দিয়েছে কি না, আমাদের কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের অ্যান্টিটেররিজম বিশেষজ্ঞরা তা পরীক্ষা করে দেখছেন। বিস্ফোরণ হওয়া ককটেলটি সাধারণ ককটেল থেকে ভিন্ন রকম ছিল। কাউন্টার টেররিজম বিস্ফোরণের ধরন, আহত হওয়ার ধরনসহ প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করছে। ঘটনাটি আদৌ জঙ্গিসংশ্লিষ্ট কি না, নাকি সাধারণ অপরাধীরা এটি করেছে, নাকি তৃতীয় কোনো মহল এটি করতে পারে, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। এ ঘটনার পর থেকে ট্রাফিক পুলিশের নিরাপত্তা বাড়ানোর কাজ চলছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, সারা বিশ্বে বৈশ্বিক যে উগ্রবাদের প্রভাব আছে, বাংলাদেশও তার বাইরে নয়। তবে সঙ্ঘবদ্ধ বা বড় ধরনের নাশকতা করার ক্ষমতা তাদের নেই। ২০১৬ সালে হোলি আর্টিজান হামলার পর তাদের বিধ্বস্ত করা হয়েছে। কখনো কখনো তারা বিচ্ছিন্নভাবে এ ধরনের ঘটনা করার অপচেষ্টা করে, সেগুলো আমরা নজরদারিতে রাখছি। জনগণের জানমাল রক্ষার জন্য, দেশের মানুষের রক্ষার জন্য যেকোনো নৈরাজ্য উগ্রবাদ দমানোর জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন