‘দারিদ্র্য বিমোচনে যাকাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে; দেশে অর্থনীতির যে আকার তাতে ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি যাকাত আদায় সম্ভব। আর এ পরিমাণ যাকাত আদায় হলে দেশে কোনো দারিদ্র্য থাকবে না বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। গতকাল রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এই মতামত তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে সাবেক তত্ত¡াবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জা আজিজুল ইসলাম দেশে আয় বৈষম্য নিরসন ও দারিদ্র বিমোচনে যাকাতের প্রাতিষ্ঠানিকিকরণের ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, বর্তমানে যেভাবে যাকাত দেওয়া হয়, তাতে গ্রহীতা সাময়িকভাবে উপকৃত হন। তবে উপকার টেকসই হয় না। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে যাকাত আদায় ও বিতরণ করলে দারিদ্র্যবিমোচন টেকসই হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বলেন, যাকাত ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণেই দেশে ধনী-গরিবের বৈষম্য বাড়ছে। মুসলিম বিশ্বে বর্তমানে যে ক্ষুধা-দারিদ্র্য বিরাজ করছে, যাকাতের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে তা দূর করা সম্ভব। সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, কর ধনী-গরিব সবার কাছ থেকেই আদায় করা হয়। কিন্তু সুফল সবাই সমানভাবে পায় না। বিশেষ করে দরিদ্ররা এ সুফল থেকে বঞ্চিত হয়।
সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট আয়োজিত সপ্তম যাকাত ফেয়ারের উদ্বোধন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনিও সবার বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে যাকাতকে দারিদ্র্য বিমোচনের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে উল্লেখ করেন। সমতা ও ন্যায্যতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিত্তবানদের পরিকল্পিত উপায়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যাকাত প্রদানের আহ্বান জানান মন্ত্রী।
দিনব্যাপী যাকাত ফেয়ারে যাকাত সংক্রান্ত পরামর্শ ডেস্ক, বিভিন্ন ইসলামিক বই, যাকাতভিত্তিক বিভিন্ন কার্যক্রম উপস্থাপনসহ নানা ধরনের স্টল খোলা হয়। যেখান থেকে যাকাত প্রদানে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি এ সম্বন্ধে আগ্রহীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব ও বিশদ ধারণা দেওয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন