স্পোর্টস ডেস্ক : যেখানেই যান না কেন একটা ‘নির্ধারীত’ প্রশ্নের মুখোমুখী তাঁকে হতেই হয়। নিজের জীবন অবলম্বনে তৈরী একটি সিনেমার প্রাচারের জন্য সম্প্রতি মিলানে যান ব্রাজিল কিংবদন্তি পেলে। সেখানে ইতালির ক্রীড়া দৈনিক দেল্লো স্পোর্তকে অতীত ও বর্তমান নিয়ে নানা বিষয়ে কথা বলেন তিনি। এর এক পর্যায়ে প্রিয় খেলোয়াড়ের প্রশ্নে বার্সা ও আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসিকেই সবার ওপরে রাখেন ৭৫ বছর বয়সী জীবন্ত ফুটবল কিংবদন্তি।
তিনি বলেন, ‘এটা বলা খুব কঠিন। কারণ, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন খেলোয়াড়ের সঙ্গে আমার তুলনা হয়ে আসছে। প্রথমে ছিল (আলফ্রেডো) ডি স্টেফানো, এরপর (ইয়োহান) ক্রুইফ, ফ্রেঞ্জ বেকেনবার, ববি চার্লটন, (ডিয়েগো) ম্যারাডোনা এবং এখন (লিওনেল) মেসি। এর মধ্যে লিওকেই আমি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি, কারণ সে সবচেয়ে নিখুঁত।’ সময়ের সেরা তিন খেলোয়াড় প্রসঙ্গে তিনটি বিশ্বকাপজয়ী তারকা বলেন, ‘মেসি আমার সবচেয়ে প্রিয় খেলোয়াড়। তবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো আর নেইমারও ভালো। পরিবর্তিত ফুটবলে তাদের ধরনটাও ভিন্ন।’
ফুটবল দুনিয়ায় এখন কড়া নাড়ছে মিলানেই অনুষ্ঠেও আগামীকালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল। প্রসঙ্গত এই ম্যাচে ফেবারিট দল নিয়ে কথা বলতে হয় তাঁকে। তিনি বেছে নিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদকে। অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদকে বেছে নেয়ার কারণটাও খোলসা করেছেন তিনি। তবে ফুটবলীয় অনিশ্চয়তাকে স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘ফুটবল বিস্ময়ে ভরা এবং এটা বলা কঠিন কে জিতবে। তবে খেলায় জেতার চেয়ে আমি ফুটবলের সৌন্দর্যকে বেশি প্রাধাণ্য দিই। এক্ষেত্রে আমি রিয়ালকেই বেছে নেব। কারণ তাদের খেলা বেশি পরিপূর্ণ, কম রক্ষণাত্মক ও বেশি আক্রমণাত্মক।’
জানালেন, ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে জার্মানির কাছে সেই লজ্জাজনক হার এখনো কাঁদায় তাঁকে, ‘গত বিশ্বকাপটা ছিল খুবই দুঃখজনক। জার্মানির কাছে ৭ গোল খেয়েছি আমরা। হারটা মানা যায়, কিন্তু ৭ গোল খাওয়াটা অনেক বেশি।’ তিনি যোগ করেন, ‘আমার বয়স যথন নয়, তখন আমি প্রথম আমার বাবাকে কাঁদতে দেখি। মারাকানায় ১৯৫০ বিশ্বকাপ ফাইনালে উরুগুয়ের কাছে সেদিন হেরেছিল ব্রাজিল। দুই বছর আগে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে অপদস্থ হওয়ার পর আমার ছেলে আমার কান্না দেখেছে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন