রাঙ্গুনিয়ায় অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর ঘটনা বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন ঘটনায় হত্যা, আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ক্রমশই বাড়ছে। গত দেড় সপ্তাহে ১১ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গত মাসে ইসলামপুর ও বেতাগীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ডাকাতির ঘটনাও ঘটেছে।
উপজেলা জুড়ে মাদকের বেচাকেনা পূর্ব সময়ের চেয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বাড়িঘর নির্মাণে নীরবে চলছে চাঁদাবাজি। মূল্যবান সরকারি জায়গা দখলে গড়ে উঠেছে একাধিক সিন্ডিকেট। সবকিছু মিলিয়ে রাঙ্গুনিয়ায় এখন ভয়াবহ এক আতঙ্কের জনপদ। ডাকাতি ও বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত গত এক সপ্তাহে প্রায় এক ডজন অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ঘটনায় গত ৮ মে ভাত চেয়ে না পাওয়ায় কেরেসিন ঢেলে স্ত্রীকে হত্যা করেছে স্বামী। উপজেলার সরফভাটা দুর্গম আদিবাসী পল্লী বড়খোলা পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনায় স্বামী অংসি মারমা গ্রেফতার হলে স্ত্রী মাসিং প্রু মারমাকে হত্যার ঘটনার থানায় স্বীকার করেছেন। গত বুধবার তাকে চট্টগ্রাম জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন। চন্দ্রঘোনা জিয়া মার্কেট এলাকায় জান্নাতুল ফেরদৌস নামের প্রবাসীর স্ত্রী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে। একই দিনে হোছনাবাদ নিশ্চিন্তাপুর পুকুরে ডুবে ওসমান নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ১মে বিকালে কর্ণফুলী নদী থেকে সাহেদা আক্তার শারমিন নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড উল্ল্যেখ করে গৃহবধূর পিতা মো. শহীদুল্লাহ থানায় মামলা করলে এ ঘটনায় স্বামী মো. আলমগীরকে পুলিশ গ্রেফতার করে ২মে জেল হাজাতে প্রেরণ করে। ২৯এপ্রিল সরফভাটা সিকদার পাড়ায় রাতে মা ডেইজি আকতার, মেয়ে ইভা আকতার ও ইসরাত নূর (১০ মাস) বিষপানে আত্মহত্যা করে। গত ২৫ এপ্রিল ইসলামপুর-গাবতল সড়কে বেপরোয়া চাঁদের গাড়ি উল্টে ঘুমন্ত অবস্থায় মো. জাফর, আব্দুল মোনাফ, মো. নাজিম উদ্দিন, মো. রিয়াজ নামের চার ইটভাটা শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন