এ.টি.এম. রফিক, খুলনা থেকে : মংলা সমুদ্র বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানী উৎসাহিত করতে কর ছাড় দেয়াসহ এফবিসিসিআই’র কাছে ২০ দফা সুপারিশ করেছে খুলনা চেম্বার অব কমার্স। ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ এই সংগঠন সুপারিশমালা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। আগামী ১ জুন জাতীয় বাজেট অধিবেশন শুরু হবার কথা রয়েছে। আগামী বাজেট অধিবেশনে আলোচনাসহ এসব বিষয়ে জাতীয় বাজেটে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা গেছে, মংলা বন্দর থেকে বর্তমানে বিভিন্ন পণ্য আমদানীর পরিমাণ বেড়েছে।
বন্দর থেকে আমদানীকৃত পণ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, সার, গম, গাড়ি, কয়লা, এলপি গ্যাস, সিমেন্টের ক্লিংকার, লাইনস্টোন, জিপসাম, স্টিল প্লেট, বোল্ডার, রি-কন্ডিশন ভেইকেল, ¯øাগ, অটোপার্টস, সুপারি, ফ্রিজ, টেলিভিশন, এয়ারকন্ডিশন প্রভৃতি।
সূত্রটি জানায়, ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে মংলা বন্দর থেকে ৩৪ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিকটন, ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে ৪৪ লাখ ২৯ হাজার ৪৪৯ মেট্রিকটন এবং চলতি ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ৪৭ লাখ ৪৫ হাজার ৫২৬ মেট্রিকটন পণ্য আমাদানী হয়েছে।
খুলনা চেস্বার অব কমার্সের সভাপতি কাজি আমিনুল হক জানান, ‘মংলা বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানীর ক্ষেত্রে বিশেষ কর ছাড় দেয়া হলে আমদানীকারকরা এই বন্দরের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য আমদানীতে উৎসাহী হবে। সেই সাথে মংলা বন্দরের কার্যক্রম বৃদ্ধি পাবে। বন্দর দিয়ে আমদানীও বাড়বে।’
তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে ২০দফা প্রস্তাবনা এফবিসিসিআই এ পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। খুলনা চেম্বারের ২০ দফা প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবে।’
খুলনা কাস্টমস এন্ড ভ্যাট এক্সাইজের কমিশনার ড. আল আমিন প্রামাণিক জানান, চেম্বার যে প্রস্তাবনা দিয়েছে এসব জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বিষয়। এ বিষয়ে বোর্ডের উর্দ্বতন কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নিবে।
চেম্বারের দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-পঁচনশীল দ্রব্য আমদানীর জন্য এলসি’র শর্তে একাধিক স্থল বন্দরের নাম রাখার সুযোগ, পণ্যের ওপর বন্দরে বিভিন্ন হারে শুল্কারোপ, অগ্রিম ট্রেড ভ্যাট নামে আমদানী পর্যায়ে অতিরিক্ত মূসক আদায়ের বিধান, নিবন্ধিত করদাতার আইন স্বীকৃত কোন ভূলের জন্য গুরুদÐ প্রদান করা ব্যবসায়ীদের ওপর অবিচার, প্রত্যেক আইটেমের জন্য বাজার দর ও মুনাফা পর্যালোচনা করে নতুন গ্রস মুনাফার হার নির্ধারণ করা প্রয়োজন, আয়কর রিটার্ণের আগে অডিট রিপোর্ট বাধ্যতামূলক দেয়ার বিধান বাতিল, করদাতা রি-ওপেনের ক্ষেত্রে ৫ বছর সময়সীমা করা, ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ব্যাংকের সুদের হার বাড়ানোর ফলে দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন