আগের ম্যাচে সুযোগ ছিল রেকর্ড গড়ে জয়ের, খুব কাছে গিয়েও শেষটায় তালগোল পাকিয়ে হেরেছে পাকিস্তান। তবে গত বিশ্বকাপের পর থেকেই রান পাহাড় টপকানোর চ্যালেঞ্জকে ডাল-ভাত বানিয়ে ফেলা ইংল্যান্ড সুযোগ হাতছাড়া করেনি, জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরিতে সাড়ে তিনশ ছাড়ানো রান তাড়ায় হেসেখেলে জিতেছে ওয়েন মর্গ্যানের দল।
তৃতীয় ওয়ানডেতে ৩৫৯ রানের লক্ষ্য ৬ উইকেট আর ৩১ বল বাকি থাকতে ছুঁয়ে ফেলে তারা! ওয়ানডেতে এর চেয়ে বড় রান তাড়া করে জয় আছে ইংল্যান্ডের কেবল একটি। চলতি বছরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিতেছিল ৩৬১ রানের লক্ষ্য তাড়া করে।
ব্রিস্টলে মঙ্গলবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইমাম-উল-হকের ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে রানের পাহাড় গড়েও শেষ রক্ষা হয়নি পাকিস্তানের। এক উইকেট হাতে রেখে শেষ পর্যন্ত ৩৫৮ রান তোলে শরফরাজের দল। ২৭ ম্যাচের ছোট্ট ক্যারিয়ারে ষষ্ঠ সেঞ্চুরি পাওয়া বাঁহাতি এই ওপেনার ইমাম ফিরেন ১৩১ বলে ১৬ চার ও এক ছক্কায় ১৫১ রান করে। ওয়ানডেতে তার আগের সেরা ছিল ১২৮। এছাড়া ছোট ছোট অবদান ছিল হারিস ৪১, সরফরাজ ২৭, আসিফ ৫২, ওয়াসিম ২২, হাসানের ১৮*।
ইংল্যান্ডের হয়ে ৬৭ রানে ৪ উইকেট নেন ওকস। কারান দুটি এবং উইলি, প্লানকেটের শিাকার একটি করে।
রানতাড়ায় ইংল্যান্ড আবারও দেখিয়েছে তাদের ব্যাটিং সামর্থ্য। বড় রান তাড়ায় ইংল্যান্ডকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন জেসন রয় ও বেয়ারস্টো। ১০৫ বলে ১৫৯ রানের শুরুর জুটি ভাঙে রয়ের বিদায়ে। ছন্দে থাকা এই ওপেনার ৫৫ বলে আট চার ও এক ছক্কায় করেন ৭৬ রান।
জো রুটকে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন বেয়ারস্টো। ৩৬ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়া এই ওপেনার ৭৪ বলে তুলে নেন সপ্তম সেঞ্চুরি। জুনাইদ খানের স্টাম্পের বাইরের বল টেনে এনে বোল্ড হয়ে থামেন বেয়ারস্টো। ৯৩ বলে খেলা তার ১২৮ রানের বিস্ফোরক ইনিংস গড়া ১৫ চার ও পাঁচ ছক্কায়।
৩৬ বলে ৪৩ রান করা রুটকে থামান ইমাদ ওয়াসিম। ব্যাটিংয়ের সুযোগ করে দিতে প্রমোশন দিয়ে চার নম্বরে পাঠানো হয় বেন স্টোকসকে, পাঁচে মইন আলিকে। দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের ৪৬ রানের জুটি ভাঙে স্টোকসের রান আউটে। মর্গ্যানকে নিয়ে বাকিটা সহজেই সারেন মইন। ৩৬ বলে ৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার।
৫ ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি ভেসে যায় বৃষ্টিতে। পরের দুটিতে জিতে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে স্বাগতিকরা। আগামী শুক্রবার নটিংহ্যামে হবে চতুর্থ ওয়ানডে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন