শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চট্টগ্রামে মন্ত্রীর সামনে জেলেদের বিক্ষোভ

সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০১৯, ১২:০৩ এএম


বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক মাছ আহরণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মতবিনিময় করতে এসে জেলেদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে ২০ মে থেকে ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক মাছ আহরণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মতবিনিময় শেষে বের হওয়ার পথে জেলেদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি।
জেলেরা ‘মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা, মানি না মানবো না’ সেøাগান দিয়ে প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরুর গাড়ি আটকে তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও পুলিশের সহায়তায় সার্কিট হাউস থেকে বের হয়ে যান তিনি। তবে প্রতিমন্ত্রীর পেছনের গাড়িতে থাকা সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন গাড়ি থামিয়ে জেলেদের সঙ্গে কথা বলেন। মাছ আহরণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে বিকল্প ব্যবস্থা, সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আসছেন- এমন সংবাদে সকাল থেকেই ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণে আসতে শুরু করেন চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকার জেলেরা। দুপুর সাড়ে ১১টা থেকে সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভা শুরু হলেও বাইরে মানববন্ধন, বিক্ষোভ করেন জেলেরা।
উত্তর চট্টলা উপকূলীয় মৎস্যজীবী জলদাস সমবায় কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি লিটন দাস বলেন, ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই ৬৫ দিন সমুদ্রে সব ধরনের মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। কিন্তু জেলে পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চট্টগ্রামের প্রায় ৫০ হাজার পরিবারের জন্য বিকল্প কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি।
তিনি বলেন, আমরা মাছ ধরে দৈনিক যা আয় করি, তা দিয়েই সংসার চালাই। প্রায় আড়াই মাস যদি মাছ ধরা বন্ধ রাখতে হয়, তাহলে এতোগুলো পরিবার চলবে কীভাবে? আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই, মাছ আহরণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা পুনরায় বিবেচনা করুন। জেলেদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নিন। অর্থাভাবে কোনো জেলে খারাপ কাজে জড়িয়ে গেলে এর দায়ভার কে নেবে?

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন