ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখে কিছু মিষ্টি-রসমালাই ফেলে দেয়া হয়েছিল নালায়। আর কিছু মিষ্টির বাক্সে দোকানের কর্মীরা তড়িঘড়ি করে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের স্টিকার লাগানোর চেষ্টাও করছিলেন। এতকিছু করেও শেষ রক্ষা হল না মধুবন মিষ্টির দোকানের। গুণতে হয়েছে জরিমানা। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ইছাপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী হাটহাজারীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বলেন, ইছাপুর বাজারে মধুবন মিষ্টির দোকানে প্রবেশের সাথে সাথে তারা কিছু মিষ্টি কার্টনে ভরে ময়লার ভাগাড়ে ফেলে দেয়। কিছু রসমালাইয়ের বাক্সে তড়িঘড়ি করে উৎপাদন এবং মেয়াদের স্টিকার লাগানোর চেষ্টা করে। আমাদের উপস্থিতির কারণে লাগানোর কাজ শেষ করতে পারেননি।
ভ্রাম্যমাণ আদালত আলগা স্টিকার এবং উৎপাদন ও মেয়াদের তারিখবিহীন ২০ কেজি রসমালাই জব্দ করে।
উৎপাদন ও মেয়াদের তারিখবিহীন পণ্য বিক্রির অপরাধে মধুবনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরপর একই বাজারের নূরজাহান মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে উৎপাদন এবং মেয়াদের তারিখবিহীন ১৫ কেজি দই ও রসমালাই জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ইউএনও রুহুল আমিন বলেন, দোকানের ব্যবস্থাপক দাবি করেন তাদের পণ্যের চাহিদা বেশি তাই উৎপাদন এবং মেয়াদের তারিখ লাগাতে হয় না। এই দোকানের ব্যবস্থাপককেও ১০ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি ৩৫ কেজি মিষ্টি ধ্বংস করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন