কেউ তুরস্কে আঘাত করলে প্রতিটি রক্তবিন্দুর খেসারত দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান। তিনি বলেন, খুনিরা যদি তুরস্ক জাতির ঐক্য, একাত্মতা ও জীবনযাত্রার ওপর আঘাত হানার চেষ্টা করে, তবে প্রতিটি রক্তবিন্দুর জন্য তাদের খেসারত দিতে হবে। বৃহস্পতিবার ইস্তাম্বুলে দেশটির নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যদের সঙ্গে ইফতারের সময় তিনি আরও বলেন, মাত্র আড়াই বছরে আমরা ৪২০ জনের মতো উচ্চস্তরের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি। যাদের মধ্যে ১৬ জন ছিল রেড তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তুরস্ক কর্তৃপক্ষ তাদের বিবৃতিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলা বলতে বুঝিয়েছেন সন্ত্রাসীর আত্মসমর্পণ অথবা তাকে মেরে ফেলা অথবা গ্রেপ্তার করা। ‘আমরা আমাদের সীমান্তে সন্ত্রাসীদের নির্মূলের মাধ্যমে তাদের সংখ্যা কমিয়ে ৭০০-তে নামিয়েছি, যা পূর্বে ছিল প্রায় দুই হাজারের মতো। এ ছাড়া সন্ত্রাসীদের দলে নতুন করে যোগদানের সংখ্যা সন্তোষজনকভাবে কমে এসেছে’ বলেন এরদোগান। খবরে বলা হয়, তুরস্ক গত আড়াই বছরে চার শতাধিকেরও বেশি উচ্চস্তরের সন্ত্রাসীকে নির্মূল অথবা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে বলে জানিয়েছেন এরদোগান। তুরস্ক কর্তৃপক্ষ তাদের বিবৃতিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলা বলতে বুঝিয়েছেন সন্ত্রাসীর আত্মসমর্পণ অথবা তাকে মেরে ফেলা অথবা গ্রেফতার করা। খবর আনাদোলু ও টিআরটির। অপর দিকে সিএনএন’র খবরে বলা হয়, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ হবে না বলে আশা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের চলমান উত্তেজনার মধ্যে বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। খবর সিএনএন ও আনাদোলুর। এদিকে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বুঝতে হবে যে, তিনি একতরফাভাবে কোনো যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারেন না। যুদ্ধ ঘোষণার একমাত্র এখতিয়ার রয়েছে কংগ্রেসের। তিনি বলেন, গত বছরই মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে পাস হওয়া এক বিলের মাধ্যমে ট্রাম্পের একক সিদ্ধান্তে যুদ্ধ ঘোষণার ক্ষমতা বাতিল করা হয়। বিলটির কারণেই কোনো যুদ্ধ ঘোষণার জন্য অবশ্যই কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বের হয়ে যাওয়ার দুই সপ্তাহ পর ‹জাতীয় প্রতিরক্ষা অনুমোদন আইন-২০১৯›-এর অংশ হিসেবে বিলটি পাস হয়। তেহরান ও ওয়াশিংটনের চলমান উত্তেজনার মধ্যে সে কথা ফের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ও ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর ন্যান্সি পেলোসি। মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে ফিরিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষে সিরিয়া থেকেও মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু ইরান ক্রমেই ‹যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের জন্য হুমকি› হয়ে উঠছে দাবি করে ‹যুদ্ধবাজ›খ্যাত জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্যাট্রিক শানাহান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সাবেক এফবিআইপ্রধান মাইক পম্পেওসহ পেন্টাগন কর্মকর্তারা ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যেতে তাকে অবিরাম কানপড়া দিয়ে যাচ্ছেন। কুশীলবদের মধ্যে আরও রয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, সউদী বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ও ছেলে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। বাহরাইন ও আরব আমিরাতও নিজেদের শিয়া সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে ইরানের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট। আনাদোলু, সিএনএন, টিআরটি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন