রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

উত্তাপ কমেছে

ঢাকা-চট্টগ্রামের বাজারদর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০১৯, ১২:১১ এএম

সবজি, পেঁয়াজ, মুরগি, ছোলা ও ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। বড় বাজারে চিনির দামও আগের চেয়ে কম। গরুর মাংসের বাজারে ইচ্ছামতো দাম হাঁকতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।
সব মিলিয়ে বাজারে কেনাকাটার চাপ কিছুটা কমেছে। অবশ্য রোজার শুরুতেই যারা মাসিক বাজার করে নিয়েছিলেন, তারা এর সুফল পাচ্ছেন না। রোজার শুরুতে সবজির মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছিল লম্বা বেগুনের। রোজার প্রথম কয়েক দিন ঢাকার বাজারে সেরা মানের লম্বা বেগুন ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। সাধারণ বেগুন পাওয়া যেত ৭০-৮০ টাকায়। এখন বাজারে বেগুন বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।
এ ছাড়া বেশির ভাগ সবজি এখন কেজিপ্রতি ৪০-৬০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে, যেটা এত দিন ৫০-৮০ টাকা ছিল। বিক্রেতারা বলছেন, সবজির সরবরাহ বেড়েছে। পাশাপাশি বাজারে চাহিদাও রোজার শুরুর দিকের মতো নেই। ফলে দাম কমতি।
দেশি পেঁয়াজ এখন ২৮-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। যেটা রোজার শুরুতে ৩৫ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। ১৬০ টাকার ব্রয়লার মুরগি নেমেছে ১৪৫-১৫০ টাকা কেজিতে। গরুর মাংস বেশির ভাগ জায়গায় ৫২৫ টাকা দরেই বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। ফার্মের লাল ডিমের ডজনপ্রতি দর ৯০ টাকায় নেমেছে।
গতকাল শুক্রবার শান্তিনগর বাজারের মুদি দোকানদার আয়নাল হক বলেন, এখন তরা প্রতি বস্তা চিনি দুই হাজার ৪২০ টাকায় কিনতে পারছেন। যেটা রোজা শুরুর আগের তুলনায় প্রায় ১৫০ টাকা কম। ফলে খুচরা দোকানে চিনির দরও ৫২-৫৫ টাকায় নেমেছে।
মাছের দাম কিছুটা কমেছে। তবে সেটা এখনো চড়া। রোজার শুরুতে মানুষ বাজারে মাছ কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল। এখন সেটা নেই। ফলে ইচ্ছামতো দাম হাঁকতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। যেমন যে চিংড়ি রোজা শুরুর আগের দিন কেজিপ্রতি ৭০০ টাকার এক টাকাও কমে দিতে রাজি ছিলেন না ব্যবসায়ীরা, সেটা এখন দর-কষাকষি করে ৬৫০ টাকায় কেনা যাচ্ছে।
শান্তিনগরের বাসিন্দা আতিক হোসেন কেনাকাটা করছিলেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাড়তি চাহিদার কারণে যেসব পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছিল, সেটা এখন কিছুটা কম দেখছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন