বান্দরবানের রাজবিলায় আওয়ামী লীগের সমর্থক ক্য চিং থোয়াই মারমাকে অপহরণের পর গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। ক্য চিং রাজবিলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর রাবার বাগান এলাকার তাউ থোয়াই মারমার ছেলে।
চলতি মাসেই একই এলাকায় জনসংহতি সমিতির এক সমর্থক ও এক কর্মীকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। গত শনিবার রাত ২টার দিকে রাজবিলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর রাবার বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ক্য চিংয়ের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাত ২টার দিকে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী ক্য চিং’কে তার নিজ বাসা থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। গতকাল রোববার ভোরে তার বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দ‚রে রাবার বাগান এলাকায় স্থানীয়রা লাশ দেখতে পান। তার বুকে ও পিঠে পাঁচটি গুলির দাগ রয়েছে। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে বান্দরবান সদর থানা ও রাজবিলা পুলিশ ক্যাম্প থেকে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান।
রাজবিলার ইউপি চেয়ারম্যান কে অং প্রু মারমা জানান, নিহত ক্য চিং আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন। তার ভাই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। এ ঘটনার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করছেন। তবে জনসংহতির পক্ষ থেকে এখনো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ক্য চিংকে হত্যার তথ্য নিশ্চিত করে বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মো. এনামুল হক ভূইয়া বলেন, একজনকে অপহরণের পর গুলি করে হত্যার খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এদিকে, ওই এলাকায় একের পর এক হত্যাকান্ডের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। এর আগে, গত ৯ মে ওই এলাকায় সন্ত্রাসীরা জনসংহতি সমিতির সমর্থক জয় মনি তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে। এর দু’দিন আগেই ৭ মে সন্ত্রাসীরা জনসংহতি সমিতির কর্মী বিনয় তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে। অপহরণ করা হয় ফোলাধন তংচঙ্গা নামের আরও এক কর্মীকে। এখনো তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন