বান্দরবানে জ্বলন্ত চাকমা (৩৫) নামে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক দলের এক সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বান্দরবান সেনাবাহিনীর সদর জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল মাহমুদুল হাসান ও বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানিয়েছে,জ্বলন্ত চাকমা মোটরসাইকেলযোগে পূর্ণবাসন চাকমা পাড়া থেকে বান্দরবানে আসার পথে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে টংকাবতী ইউনিয়নের ব্রিকফিল্ড এলাকায় পৌঁছলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় অপর একজন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে তার নাম জানা যায়নি। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় সেনাবাহিনী এবং পুলিশ সদস্যরা গিয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা তাৎক্ষণিক জানা না গেলেও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জনসংহতি সমিতির সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। এলাকাবাসী জানান, সেনাবাহিনী আমতলী ক্যাম্পের আওতাধীন, ব্রীকফিল্ড, ভাগ্যকুল, হাতিরডেরা, আলীনগর, মন্ত্রী বীর বাহাদুরের বাগান দক্ষিণ ও উত্তর হাঙ্গর এলাকা, ইউসুফ শাহ মাজার এলাকায় একটি চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী গ্রুপ নিয়মিত ঠিকাদার, কাঠ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা কালেকশন করে আসছে। এর আগে এখানে কোন সময় চাঁদা দিতে হয়নি বলে জানান এলাকাবাসী।
টঙ্কাবতী বনবিভাগের রেঞ্জ অফিসার মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন জানিয়েছেন, ঘটনার পর ব্রিকফিল্ড এলাকায় মোটরসাইকেলসহ রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
উল্লেখ্য যে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারী বান্দরবানের রুমা উপজেলার গ্যালেংগা ইউনিয়নের আবুপাড়ায় বাবা ও চার ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এরপর ৫ মার্চ রোয়াংছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে জেএসএসের সশস্ত্র কমান্ডারও চাঁদা কালেক্টর উনুমং মারমা (৪৫ নিহত হয়েছে। পর দিন ৬ মার্চ বান্দরবানের রুমার পাইন্দু ইউনিয়নে পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসীর দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগোলিতে আরো ৪ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন