শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

ওয়াসার ৩৪ পয়েন্টের পানি পরীক্ষার নির্দেশ হাইকোর্টের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০১৯, ৬:৪২ পিএম

রাজধানীর ৩৪টি পয়েন্ট থেকে ঢাকা ওয়াসার পানির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পানি পরীক্ষার জন্য আদালতের নির্দেশে গঠিত চার সদস্যের কমিটিকে ২ জুলায়ের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। আদালত বলেছেন, আইসিডিডিআরবি, বুয়েটের ব্যুরো অব রিসার্চ, টেস্টিং অ্যান্ড কনসোলেশন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবে ওয়াসার পানির ওই নমুনা পরীক্ষা করতে হবে। পরীক্ষায় ৫ হাজার টাকা খরচ ধরে মোট ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ওয়াসাকে দিতে বলা হয়েছে।
আদেশে আদালত চারটি উৎস (বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষা, ভূ-গর্ভস্থ ও ভূমিস্থ), ১০টি বিতরণ মজোন (যা মডস জোন নামে পরিচিত) এবং গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ১০টি ঝুঁকিপূর্ণ ও দৈবচয়নের ভিত্তিতে ১০টি স্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে বলেছেন।
পানি পরীক্ষার ব্যয় সংকোচন ও সার্বিক চিত্র পাওয়ার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাবিতা রিজওয়ানা রহমান আদালতে তার মতামত তুলে ধরার পর মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। রিটকারী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষে বৃহস্পতিবার একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। গত তিন মাসে ওয়াসার হট লাইনে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে ১০টি মডস জোনের ৫৯টি এলাকার পানিতে ময়লা থাকার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি বলে সেখানে উল্লেখ করা হয়। ওয়াসার ১০টি জোনের প্রত্যেক এলাকা থেকে ৩৫৫টি নমুনা সংগ্রহ করে তিনটি ল্যাবরেটরিতে রোগজীবাণু ও ভৌত রাসায়নিক পরীক্ষা করতে মোট ৭৫ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হবে বলে সেদিন হিসাব দিয়েছিল ওয়াসা।এরপর হাই কোর্ট পানি পরীক্ষার ব্যায় সংকোচন ও পরীক্ষা পদ্ধতির বিষয়ে মতামত দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাবিতা রিজওয়ানা রহমানকে আদালতে আসতে বলে। এর ধারাবাহিকতায় অধ্যাপক সাবিতা হাইকোর্টে উপস্থিত হয়ে তার মতামত তুলে ধরেন।
শুনানির এক পর্যায়ে আদালত বলেন, মূলত বেশি বাজেটের বিষয়ে আপনার মতামত জানতে চাচ্ছি। আমাদের মূল উদ্দেশ্য দূষিত পানি সরবরাহের বিষয়টি নিয়ে। কেন এটা সাপ্লাই হচ্ছে? এটা এক্সামিনের জন্য। এ এক্সামিনে এত লার্জ স্কে কেন? স্যাম্পল কীভাবে নেয়া হবে। মূলত পরীক্ষায় খরচ কীভাবে কমানো যায় সে বিষয়ে জানতে আপনাকে আসতে বলেছিলাম।
আদেশের পরে অধ্যাপক সাবিতা রিজওয়ানা সাংবাদিকদের বলেন, আজকে যে পানি সুপেয়, দুই দিন পরে কোনো রকম জটিলতার কারণে সে পানি সুপেয় নাও থাকতে পারে। সে কারণে এককালীন পরীক্ষা করে পানির বিষয়টি সমাধান করা যাবে না। পানি সুপেয় না হলে যেটা করণীর সেটার ওপর জোর দিতে হবে। পাইপ লাইনে সংস্কার, কিংবা পানির মান উন্নয়ন। পানি সরবরাহ, পয়োনিষ্কাশন, স্বাস্থ্যবিধি ও দারিদ্র্য নিয়ে সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাংকের একটি প্রতিবেদন ও প্রতিবেদন নিয়ে প্রকাশিত খবর যুক্ত করে গত বছর ১৪ অক্টোবর হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন হয়। সেই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত পানি পরীক্ষার নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন