কাঁচ উৎপাদনে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে আসছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রæপ পিএইচপি ফ্যামিলির প্রতিষ্ঠান পিএইচপি ফ্লোট গøাস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এ বিষয়ে টেকনিক্যাল সাজেশন দিবে প্রযুক্তির আধুনিক রাষ্ট্র জাপান। স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে আগামী ১০ বছরে কাঁচ উৎপাদনে শীর্ষ স্থানে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু করছে প্রতিষ্ঠানটি। এক্ষেত্রে কাঁচ শিল্পের উন্নয়নে ও বিদেশে বাজার সৃষ্টিতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছে এর উদ্যোক্তারা। গতকাল বিকালে নগরীর আগ্রাবাদে পিএইচপি হাউজের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানান পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক আমির হোসেন সোহেল।
১২ বছর আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুÐ এলাকায় পিএইচপি ফ্লোট গøাস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে দৈনিক ১৫০ টন বিভিন্ন প্রকারের গøাস উৎপাদন হচ্ছে। আগামী এক বছরের মধ্যে দৈনিক ৩০০ টন উৎপাদনের কাজ শুরু হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আমদানিসহ অন্যান্য কাজ শুরু হয়েছে। যেখানে ২.৫ এমএম-১৫ এমএম ঘনত্বের কাঁচ উৎপাদন সম্ভব হবে এবং কর্মসংস্থানের পরিমাণ ১৫০০’তে উন্নীত হবে। এ খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ হবে ৩০০ কোটি টাকা।
কাঁচ উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধির সাথে সাথে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে বলে জানান আমির হোসেন সোহেল। কাঁচ উৎপাদনে সর্বোত্তম মান বজায় রাখতে ‘অনলাইন ইনস্পেকশন’ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। ফলে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কোনো সমস্যা দেখা দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা ক্র্যাশ করা হবে। এতে গøাসের মান হবে নিখুঁত। এছাড়া উৎপাদন ক্ষমতা ও মান বাড়াতে টেকনিক্যাল সাজেশন নেয়া হবে বিশ্বের প্রযুক্তি নির্ভরতার এক নম্বর দেশ জাপানের।
বিশ্বের উন্নত দেশে বহুল ব্যবহৃত লো-ই গøাস উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে পিএইচপি’র। কারণ এই গøাস তাপ নিরোধক, স্বচ্ছ ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। এছাড়া সাউন্ড প্রæফ গøাস তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে।
আমির হোসেন সোহেল বলেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে কাঁচের সব ধরনের সুবিধা নিয়ে এক নম্বর অবস্থানে যেতে চাই আমরা। ফেনীতে ৬০০ টন উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন গøাস কারখানা তৈরির কাজ শুরু করা হবে। ইতিমধ্যে সেখানে ভূমি উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। এই কারখানাটি তৈরি হয়ে গেলে দৈনিক উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াবে ৯০০ টনে।
কাঁচের সাথে অ্যালুমিনিয়ামের ব্যবহার হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পিএইচপি মানসম্পন্ন অ্যালুমিনিয়ামও তৈরি করছে। ফলে গ্রাহকরা একই শিল্প গ্রæপের কাছ থেকে দুটো সেবাই পাবে। আমির হোসেন সোহেল বলেন, আগের তুলনায় দেশের মানুষ কাঁচ ব্যবহারের প্রতি সচেতন হয়েছে। দেশেরও এর চাহিদা তৈরি হয়েছে। এক সময় ১৫০ টন উৎপাদন করা হলেও ৫০ টনের অধিক বিক্রয় সম্ভব হতো না। কাঁচ তৈরিতে ব্যবহৃত বালি ও গ্যাস দুটোই আমাদের দেশে সহজলভ্য। কাঁচ উৎপাদনে ৮০ ভাগ কাঁচামাল এ দুটো উপাদান। বাকি ২০ ভাগ কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। এই শিল্পের উৎপাদিত পণ্যের ভ্যালু এ্যাড হয় সবচেয়ে বেশি। ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের সেভেন সিস্টার খ্যাত সাত রাজ্য, নেপাল ও ভুটানে বাজার ধরতে পারে বাংলাদেশ। এই বাজার ধরতে পারলে কাঁচ রপ্তানির বিশাল সুযোগ তৈরি হবে। এক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। নীতিমালা প্রণয়ন করে ও কাঁচ আমদানি নিরুৎসাহিত করা হলে দ্রæত এই শিল্পে বিকাশ সম্ভব হবে। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক মোহাম্মদ আলী হোসেন ও জহিরুল ইসলাম। Ñপ্রেস বিজ্ঞপ্তি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন