দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঈদ পরবর্তী কর্মস্থলমুখি জনস্রোত শুরু হলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে সড়ক ও নৌপথে ঝুঁকি বাড়ছে। গত দুদিন বরিশাল নদী বন্দর সহ দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিটি নদী বন্দর ও লঞ্চঘাটগুলোতে উপচেপড়া ভিড়। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বরিশাল নদী বন্দর থেকেই প্রতিদিন গড়ে ১৫টি বেসরকারি নৌযান ছাড়াও ২টি করে ক্যাটামেরন ও বিআইডব্লিউটিসি’র দুটি স্টিমার যাত্রী পরিবহন করছে। এরপরেও জনস্রোত সামাল দেয়া দুরূহ হয়ে পড়েছে। এত বিপুল সংখ্যক নৌযান চলাচল করার পরেও কোথাও একটি কেবিন টিকেট নেই। সড়ক পথেও সব বাসের টিকেট অনেক আগেই বিক্রি শেষ। এবার ঈদের আগে পরে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও চাঁদপুর ও লক্ষীপুর হয়ে বরিশাল সহ দক্ষিনাঞ্চলে অন্তত দশ লাখ যাত্রী চলাচল করবে বলে মনে করছেন ওয়াকিবাহল মহল। আগামী শনিবার পর্যন্ত ঈদ পরবর্তি কর্মস্থলমুখি যাত্রী ভীড় অব্যাহত থাকবে। তবে এ অবস্থাতেও বিআইডব্লিউটিসি রবিবারের পরে আর কোন বিশেষ স্টিমার সার্ভিস পরিচালনা করছে না। এমনকি এবারই সংস্থাটি বরিশালÑল²ীপুর রুটে কোন সীÑট্রাক পারিচালন করছেনা।
এ অবস্থাতেই শনিবার দিনের বিভিন্ন সময়ে ঘনকালো মেঘের গর্জনের সাথে হালকা থেকে মাঝারী বৃষ্টিতে কর্মস্থলমুখি নৌ-যাত্রীদের মধ্যে দুঃশ্চিন্তা বেড়েছে। বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের সব নদী বন্দরগুলোকে ১নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ এবং পুলিশÑপ্রশাসন নৌযানগুলোতে ওভারলোডিং বন্ধে তৎপড় থাকলেও জনস্রোতের কাছে অনেক সময়ই অসহায় হয়ে পড়ছে।
আবহাওয়া বিভাগের বুলেটিনে বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা ও নোয়াখালী সহ উপক‚লীয় এলাকা সমূহের উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘন্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্র বৃষ্টি সহ দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানান হয়েচে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেতের আওতায় রাখা হয়েছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি একই এলাকায় অবস্থান করছে। ফলে বরিশাল সহ দক্ষিনাঞ্চল ও উপক’লীয় এলাকায় অস্থায়ী দমকা ও ঝড়ো হাওয়া সহ বজ্রবৃষ্টির সম্ভবনার কথাও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
এ বজ্র বৃষ্টিকে মৌসুমী স্বাভাবিক পরিস্থিতি বলে জানিয়েছে আবহায়াবীদগন। বর্ষা মাথায় করে দক্ষিন-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু উপকুল এলাকায় পৌছেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন