মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর নূন্যতম কর বাড়িয়ে ২ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি দশমিক ৭৫ শতাংশ ছিল। টিকে থাকার যুদ্ধে হিমশিম খাওয়া মোবাইল টেলিযোগাযোগ শিল্পের যখন প্রয়োজন সহযোগিতা ঠিক সে সময়ে এমন কর হার আরোপ আত্মঘাতী বলে মনে করছে মোবাইল ফোন অপারেটর রবির চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম। অপারেটরটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে একথা বলা হয়।
সাধারণত কোনো কোম্পানি মুনাফা করলে সেই মুনাফার ওপরে এই কর্পোরেট কর দিতে হয়। দেশে খাতভিত্তি অনেকগুলো কর্পোরেট কর রয়েছে। সেখানে মোবাইল অপারেটরগুলোর ক্ষেত্রে পাবলিকলি ট্রেড কোম্পানি হলে ৪০ এবং নন পাবলিকলি হলে ৪৫ শতাংশ কর দিতে হয়। এখনে মোবাইল অপারেটরগুলোর ক্ষেত্রে কোনো কোম্পানি মুনাফা না করলেও মোট আয়ের উপর বা বিভিন্ন উৎসে জমাকৃত অগ্রিম আয়করে সর্বনিম্ন একটি কর রয়েছে। সেটি আগে ছিল পৌনে এক শতাংশ আর এখন প্রস্তাব করা হলো ২ শতাংশের।তার মানে একটি কোম্পানি লসের মধ্যে থাকলেও এই হারে কর দিতে হবে।
রবির বিবৃতিতে বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় রবির চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেছেন, বিদ্যমান কর কাঠামোতেই বাজারে টিকে থাকা চারটি অপারেটরের মধ্যে তিনটিকেই বছরের পরে বছর লোকসানের বোঝা টেনে যেতে হচ্ছে। লোকসান গুনলেও এতদিন তিন অপারেটরের বিনিয়োগকারীদের অনেকটা বাধ্য হয়েই দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে নূন্যতম কর দিয়ে আসতে হচ্ছিল। এবারের বাজেট নূন্যতম এ কর হার বাড়িয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে, যা একদমই হতাশাজনক। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে যে মোবাইল অপারেটররা বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে, তাদের ওপর এমন কর হারের চপোটাঘাত একেবারেই অপ্রত্যাশিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, টিকে থাকার যুদ্ধে হিমশিম খাওয়া মোবাইল টেলিযোগাযোগ শিল্পের যখন প্রয়োজন সহযোগিতা ঠিক সে সময়ে এমন কর হার আরোপ আত্মঘাতী ছাড়া কিছুই নয়।এবারের বাজেটে এই সর্বনিম্ন কর ব্যবস্থার প্রত্যাহার চেয়েছিল মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর সংগঠর অ্যামটব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন