বাড়ি থেকে তরতাজা পুত্র, মাদ্রাসা ছাত্র বায়েজিদকে বাজারে নিয়ে এসে লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরলো পিতা মাইনুদ্দিন।চোখের সামনে পুত্রকে চাপা দিয়ে রয়েল পরিবহনের একটি বাস তার জীবন খেলা সাঙ্গ করে দিয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে শিবপুর বাসস্ট্যান্ডে এই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। চোখের সামনে পুত্র বায়েজিদের রক্তাক্ত লাশ দেখে পিতা মাইনুদ্দিন কান্নায় ভেঙে পড়েন। তার বুকফাটা আর্তচিৎকারে উপস্থিত সাধারণ মানুষের চোখে ছল ছল হয় উঠে।
জানা গেছে, শিবপুর উপজেলার দত্তেরগাও গ্রামের মাইনুদ্দিনের পুত্র বায়েজিদ স্থানীয় একটি কওমি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতো। শনিবার সকালে পিতা মাইনুদ্দিন তার পুত্রকে নিয়ে শিবপুর শহরে কিছু কেনাকাটা করতে আসে। পুত্রকে নিয়ে মাইনুদ্দিন শিবপুর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে রাস্তা পারাপারের জন্য রাস্তার পাশে দাঁড়ায়। তখন মনোহরদী পরিবহনের একটি বাস বাসস্ট্যান্ডে দন্ডায়মান ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে রয়েল পরিবহনের একটি বাস মনোহরদী পরিবহন বাসটিকে ওভারটেক করে মাদ্রাসা ছাত্র বায়েজিদকে চাপা দেয়। সাথে সাথেই বাসের চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে বায়েজিদের দেহ থেঁতলে যায়। রক্তে লাল হয়ে যায় রাস্তা। নীরব নিথর হয়ে যায় শিশু বায়েজিদ। চোখের সামনে পুত্রকে লাশ হয়ে যেতে দেখে প্রথম নির্বাক পরে বুক ফাটা আর্তচিৎকারে ফেটে পড়ে পিতা মাইন উদ্দিন। আশেপাশের লোকজন দৌড়ে এসে শিশু বায়েজিদের লাশ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে শিবপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রয়েল পরিবহনের ঘাতক বাসটিকে আটক করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন