বিশ্ব ক্রিকেটের যে কোন আসরে পাকিস্তান-ভারত ম্যাচ মানে টান টান উত্তেজনা ও মর্যাদার লড়াই। আর সেই ম্যাচটি যদি বিশ্বকাপের হয় তাহলে তো এর গুরুত্বই আলাদা। যদিও বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের রেকর্ড ভালো নয়। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে দু’দলের ছয়বারের মোকাবেলায় ভারত জিতেছে সবগুলো ম্যাচই। আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান সপ্তম ম্যাচটি রোববার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। যদিও ম্যাচের আগে তাকে পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ইমরান খান উপদেশ দিয়েছিলেন টস জিতে ব্যাটিংরে নামার। শুধু তাই নয়,ভারতের বিপক্ষে হারের গ্লানি ভুলে যেতে এবং দলকে চাঙ্গা রাখতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারের এ ম্যাচ শুরুর আগে অধিনায়ক সরফরাজকে রণকৌশল শিখিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
টুইটে ইমরান লেখেন, ‘পিচ যদি ভেজা না থাকে, তাহলে টস জিতে অবশ্যই ব্যাটিং নিতে হবে এবং আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে হলে দলে স্পেশাল বোলার-ব্যাটসম্যান রাখতে হবে।’
কিন্তু ইমরানের টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়ার উপদেশ রাখতে পারেননি সরফরাজ। প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্তই নেন তিনি।
টস জেতার পর সরফরাজ বলেন, ‘আমরা প্রথমে বোলিং করতে চাই। গত তিনদিন ধরে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে বৃষ্টি হচ্ছে এবং কন্ডিশন খুবই ভালো বোলারদের জন্য।’
সরফরাজের এমন সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানান ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তিনি বলেন, ‘সত্যি করে বলতে, টস জিতলে আমরাও আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতাম। উইকেট খুবই সুন্দর দেখা যাচ্ছে এবং আমাদের দলে দুইজন লেগ স্পিনার আছে। আগে ব্যাটিং করলেও আমাদের কোনো সমস্যা নেই।’
তবে সরফরাজের সিদ্ধান্তের প্রমাণ তেমনভাবে দিতে পারেনি পাকিস্তানের বোলাররা। ভারতের ওপেনার শিখর ধাওয়ান ইনজুরিকেত থাকায় উদ্বোধনী জুটিতে রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুলের ঘাড়ে চড়ে ভালো সূচনা পায় ভারতীয়রা। পাকিস্তানী বোলারদের জন্য ইনিংসের অর্ধেক সময়ে কেটে যায় ভারতের মাত্র একটি উইকেট ফেলতে। রোহিত শর্মা’র ১৪০, অধিনায়ক বিরাট কোহলি’র ৭৭ ও লোকেশ রাহুলের ৫৭ রানের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৩৬ রান তুলতে সমর্থ্য হয় ভারত। অবশ্য আগের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জ্বলে ওঠা পাকিস্তানী পেস বোলার মোহাম্মদ আমির ভারত ম্যাচেও ছিলেন দূর্দান্ত। ১০ ওভার বল করে ৪৭ রান খরচায় ভারতের পাঁচ উইকেটের মধ্যে তিনটিই শিকার করেন তিনি। বাকি দুই উইকেট নেন হাসান আলী ও ওয়াহাব রিয়াজ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আমির ১০ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ৫টি উইকেট পেয়েছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন