শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যবসা বাণিজ্য

আইন অমান্য করে শিশুদের কাছে তামাকপণ্য বিক্রি

প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : শিশু ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের কাছে সিগারেটসহ তামাকজাতীয় পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ থাকা সত্তে¡ও তা অবাধে বিক্রি হচ্ছে। আইনে রয়েছে ১৮ বছরের কম বয়সীদের কাছে তামাকজাত পণ্য বিক্রি করলে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা হবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল রয়েছে। কিন্তু কোনো কিছুতেই মিলছে না সফলতা।

গতকাল (সোমবার) বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০১৬ উপলক্ষে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণে অর্জন ও চ্যালেঞ্জসমূহ’ শীর্ষক আলোচনা সভার শুরুতে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট ও দি ইউনিয়ন আয়োজিত এ সভায় তামাকজাত পণ্য নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হয়। শুরুতে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের প্রোপ্রাম ম্যানেজার সৈয়দা অনন্যা রহমান পাওয়ার পয়েন্টে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। এ সময় তিনি জানান, দেশে বর্তমানে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারকারীদের সংখ্যা চার কোটির বেশি। তামাকজাত পণ্য নিয়ন্ত্রণে নানা আইন হলেও তার বাস্তবায়ন খুবই সীমিত। খোলা তামাক (সাদাপাতা) এবং গুল, খৈনি নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট অগ্রগতি নেই।
এতে উল্লেখ করা হয়, পরোক্ষভাবেও নারীরা ধূমপানের শিকার হচ্ছে। এরমধ্যে শতকরা ৩০ শতাংশ নারী কর্মস্থল ও ২৪ শতাংশ নারী জনস্থলে ধূমপানের শিকার হচ্ছেন। অনেক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ধূমপানমুক্ত আইন নেই। প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তে ব্যক্তিকে জরিমানা করা হচ্ছে। এর ফলে তামাকের পরিধি হচ্ছে বিস্তৃত।
২০০৯ সালে (জিএটিএস) এর তথ্যানুসারে, বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধের পরও শতকরা ৩৮ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি বিক্রয়স্থলে বিজ্ঞাপন দেখেন। তামাক কোম্পানিগুলো কৌশলে বিজ্ঞাপন করছে। আইন ভঙ্গকারী তামাক কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। স¤প্রতি গবেষণার দেখা যায়, শতকরা ৭৫ শতাংশ তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে স্বাস্থ্যবাণী নেই। তামাকজাত দ্রব্যগুলো সহজলভ্য হওয়ায় ব্যবসায়ীরা স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। এছাড়া করও ফাঁকি দিচ্ছে তারা। এ সময় বিড়িশিল্পকে বাঁচানোর অজুহাতে কর কমানোর সুপারিশ করায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন নাটাব’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোজাফফর হোসেন পল্টু, বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোটের সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদ, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভাইস চেয়ারম্যান বোর্ড অব ট্রাস্টি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, দি ইউনিয়ন এর কারিগরি পরামর্শক সৈয়দ মাহবুবুল আলম প্রমুখ। সঞ্চালনায় ছিলেন মানবিক সংস্থার কারিগরি পরামর্শক রফিকুল ইসলাম।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন