দক্ষিণ আফ্রিকায় সিলেটের হাফিজুর রহমান সুমন (৩০) সড়ক দুর্ঘটনায় নহিত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। গত শনিবার বাংলাদেশ সময় সন্ধা ৭টার দিকে আফ্রিকায় কেপটাউনের অদূরে সামার স্ট্যান্ড এলাকায় এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হন। নিহত সুমন সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার রাখালগঞ্জের মৃত ডাঃ শামছুল হকের ছেলে । এই দুর্ঘটনায় ঢাকার মুন্সিগঞ্জের সজীব নামের আরো একজন নিহত হয়েছেন এবং গু রুতর আহত হয়েছেন দক্ষিণ সুরমার জালালপুর গ্রামের নিমার মিয়াসহ ২জন। সুমনের মৃত্যুতে তার পরিবারে নেমে ব্রম শোকের ছায়া।
জানা যায়, মৃত ডাঃ শামছুল হকের ১০ সন্তানের মধ্যে সুমন ছিল আট জনের ছোট। জীবনে প্রতিষ্ঠত হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ২০১৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি দেয়। সেখানে গিয়ে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে সে। যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত দেশে ফিরেনি আর। বাড়ির সবাই তাকে দেশে ফিরার জন্য চাপ দিলে কুরবানীর ঈদের আগেই দেশে ফিরে আসবে বলে জানিয়েছিল। বড় বোন ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক শাহিদা বেগম তাকে আদরের ভাইকে বিয়ে করানোর জন্য একটি মেয়েও পছন্দ করে রেখেছিলেন। কিন্তু সবার স্বপ্নকে ভেঙ্গে সে চলে গেল না ফিরার দেশে। সুমনের মৃত্যুতে তার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
সুমনের ছোট ভাই এমাদুর রহমান রিমন বলেন, আমার ভাই কুরবানীর ঈদের পূর্বে দেশে ফেরার কথা ছিল। ভাইয়ের জন্য ভাবিও ঠিক করা হয়েছিল। ফিরে আসার পর বিয়ে হবে। কিন্তু আমার ভাই ঠিকই ফিরছেন লাশ হয়ে! শনিবার মাইক্রোযোগে দোকানের মালামাল নিয়ে ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে নিহত হন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে কবে লাশ দেশে ফিরবে তা আজ সেমাবার জানতে পারবো।
সুমনের বড় বোনের জামাতা প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল লেইছ বলেন, সুমনের এমন মৃত্যু আমরা কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন