টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গণপিটুনিতে নিহত অজ্ঞাত পরিচয়(৩৩) ব্যাক্তির পরিচয় মেলেনি আড়াই মাসেও।গত ৯ এপ্রিল রাতে উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের বরাটি গ্রামে প্রবাসী মিনজু খানের বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত হন ওই ব্যাক্তি।পরিচয় না পাওয়ায় আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে তার দাফন করা হয়।এঘটনায় অজ্ঞাত ৭০/৮০ জনের নামে মির্জাপুর থানায় একটি মামলা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, অজ্ঞাত পরিচয় ওই ব্যাক্তি ঘটনার কয়েক মাস আগে প্রবাসী মিনজু মিয়ার বাড়িসহ বরাটি গ্রামের একাধিক বাড়িতে দিনমুজুরের কাজ করেন।সে সময় ওই তার নাম মালেক বলে জানায়।কাজের সময় পরিচয়ের সূত্র ধরে গত ৯ এপ্রিল রাত আনুমানিক ৮টার দিকে মালেক বিষ মিশ্রিত মিষ্টি ও দই নিয়ে প্রবাসী মিনজুর বাড়িতে আসেন। তার বিষ মিশ্রিত খাবার খেয়ে মিনজুর স্ত্রী মর্জিনা বেগম মেয়ে সুমাইয়া আক্তার মিতু (১৫) আয়েশা সিদ্দিকা তোয়া (৯) ও বরাটি জামে মসজিদের ইমাম মো. রুহুল আমিন অজ্ঞান হয়ে পড়েন।পরে রাতে বাড়ির মালামাল চুরি করে পালানোর সময় এলাকাবাসী তাকে ধরে গণপিটুনি দেয়।এতে সে গুরুতর আহত হলে এলাকাবাসী ও পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করে।সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল বিকেল সেখানে তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এস আই) রিপন নাগ অজ্ঞাত ৭০/৮০ জনকে আসামী করে মামলা করে।পরিচয় না পাওয়ায় তাঁকে অজ্ঞাত হিসেবে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হয়েছে বলে রিপন নাগ জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন