বগুড়ার গাবতলীতে ছেলে ধরা সন্দেহে ৪জন যুবককে গণপিটুনি দিয়ে তাদের ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান আগুনে পুড়িয়ে ভস্মীভূত করেছে স্থানীয় জনতা। গাবতলীর ইউএনও আব্দুল ওয়ারেছ আনসারী, সহকারী পুলিশ সুপার (গাবতলী সার্কেল) সাবিনা ইয়াসমীন ও থানার ওসি সেলিম হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই ৪জন যুবককে উদ্ধার করতে গেলে জনগণের রোষানলে পড়ে। এ সময় জনতার ইট পাটকেলে ৪পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং ১৫জনকে আটক করে। গতকাল সোমবার উপজেলার দুর্গাহাটা ইউনিয়ন পরিষদের পূর্বপার্শে স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে একাধিকসূত্রে জানা যায়, আটককৃত ওই ৪জন যুবক গতকাল বিকেল ৩টায় দুর্গাহাটা মাদ্রাসা ও ইউনিয়ন পরিষদের পূর্বপার্শে¦ একটি কেজি স্কুলের সামনে ঘোরাঘুরি করছিল। স্থানীয় লোকজন জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা এলোমেলো কথা বলে। তখন লোকজন ওই ৪জন যুবককে ছেলে ধরা সন্দেহে মারপিট শুরু করে। মুহুর্তে শতশত উৎসুক জনতার সমাগম ঘটে। একপর্যায়ে স্থানীয় জনতা তাদের ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান আগুনে পুড়িয়ে দেয়। সংবাদ পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মিঠু ওই ৪জন যুবককে ইউনিয়ন পরিষদ রুমে আটক করে রাখে। আটককৃতরা হলো গাবতলীর মহিষাবান ইউনিয়নের কর্ণিপাড়া গ্রামের হযরত আলী প্রাং এর ছেলে ফাহিম প্রাং (২৪), পারধুনট মধ্যপাড়া গ্রামের আঃ রশিদের ছেলে লুৎফর রহমান (৩৫), ধুনট জোড়শিমুল গ্রামের নজির হোসেনের ছেলে দুলাল হোসেন (২২) ও তার ভাই নিয়ামুল হোসেন (৩৬)। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ লাঠিচার্জ করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং ১৫জনকে আটক করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন