তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান দাবি করেছেন, রুশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয় করায় যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কের ওপর কোনও নিষোধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা গ্রহণ করেনি। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, তুরস্ককে সমঅধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। তবে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হয়নি। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনার জন্য চুক্তি সই করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। কিন্তু রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কেনায় ক্ষুব্ধ ছিলো তুরস্কের সাবেক মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সরকার শুরু থেকেই এ চুক্তির তীব্র বিরোধিতা করে তিন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়ে রেখেছে। জি-২০ সম্মেলনে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এরদোগান বলেছেন. জুলাইয়ের প্রথমার্ধেই এস-৪০০-গুলো তুরস্কেকে হস্তান্তর করা হবে। আর ট্রাম্প তাকে সরাসরি বলেছেন যে তুরস্কের ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে না। এরদোগান বলেন, আমি ব্যক্তিগত আলাপেই শুনেছি যে এটা হবে না। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত মিত্র। আর আমরা থাকতে কেউই তুরস্কের সার্বভৌম অধিকারের ওপর আঘাত আনতে পারবে না। সবারই এটা জানানো উচিত। এর আগে ট্রাম্পকে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে এটা দ্বিপাক্ষিক। তাই দুই পক্ষই বিকল্প সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। ডয়েছে ভেলের খবরে বলা হয়, এরদোগান বলেন, আমরা ব্যক্তিগতভাবে ট্রাম্পের কাছ থেকে শুনেছি যে তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের মতো কোনও ঘটনা ঘটবে না। আমরা একে অপরের কৌশলগত অংশীদার। তিনি এই বিষয়ে জোর দিয়ে বলেন, কৌশলগত অংশীদার হিসেবে কোনও দেশের তুরস্কের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই। প্রত্যেকের এটি জানা উচিত। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা এফ-৩৫ জেট কেনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ১.৪ বিলিয়ন ডলার দিয়েছি। ১১৬টি জেটের মধ্যে এ পর্যন্ত চারটি জেট তুরস্ককে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি জেটও পাবো আশা করি। তিনি বলেন, নিম্ন মানসিকতার কিছু মানুষ ট্রাম্পের সঙ্গে কোনোভাবেই জোট না করার জন্য বলছে। কিন্তু আমি মনে করি এসব দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না এবং এটিই আমাদের অঙ্গীকার। আনাদোলু, ডয়েচে ভেলে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন