শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

শেষ হলো জাতীয় বীজ মেলা

ব্যতিক্রমী উদ্যোগে প্রথম হয়েছে এসিআই সীড

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

’খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যহত রাখবে মানসম্মত বীজ’ শিরোনামে শেষ হলো তিনব্যাপি জাতীয় বীজমেলা ২০১৯। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) চত্বরে অনুষ্ঠিত এ মেলায় বেসরকারী খাতে প্রথম স্থান অর্জন করেছে এসিআই সীড লিমিটেড। এবারের মেলায় সরকারী বেসরকারী ২৯ টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহন করে।
গতকাল সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে পুরস্কার বিতরন করেন কৃষি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বীজ উইং এর মহাপরিচালক আশ্রাফ উদ্দিন আহমেদ। জাতীয় বীজ মেলায় এবারে বেসরকারি পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জন করে এসিআই সীড। মেলায় এসিআই সীডের হেড অব বিজনেস সুধির চন্দ্র নাথ পুরস্কার গ্রহন করেন।
তিনি বলেন, এসিআই সীড এবারের মেলায় ব্যতিক্রমি আয়োজন নিয়ে অংশগ্রহন করে। মেলায় প্রতিষ্ঠানটি পূর্ণাঙ্গ সীড ভ্যালু চেইন প্রদর্শন করে। এসিআই সীড মেলায় বীজ গবেষণা থেকে শুরু করে কৃষকের পৌছে দেয়া পর্যন্ত বিভিন্ন নতুন নতুন কৌশল প্রদর্শন করে। এছাড়া বীজের জাত এবং এ সম্পর্কিত আধুনিক প্রযুক্তি প্রদর্শন করার কারনে দর্শনার্থীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
মেলায় এসিআই সীড তার নিজস্ব গবেষনার মাধ্যমে উদ্ভাবিত রাবি ধান-১ আগামীতে কৃষকের দৌরগোড়ায় পৌছে দেয়ার সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছে। রাবি ধান-১ বংলাদেশ সরকারি-বেসরকারী অংশীদারিত্বে উদ্ভাবিত প্রথম জাত। এসিআই বাংলাদেশে সর্বোচ্চ ফলনশীল মনসান্টোর হাইব্রিড ভুট্টা বস আগামী সেপ্টেম্বর থেকে বাজারজাতকরন করবে। এছাড়া এসিআই নিজস্ব গবেষকের তত্বাবধানে আরও ১১টি সবজী ফসলের মোট ২৮টি হাইব্রিড জাত উদ্ভাবন করেছে। যা ইতিমধ্যে কৃষকদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে এসিআই প্রায় ৩১ টি সবজির ফসলের ১০৩ টি জাত এবং ৯ টি মাঠ ফসলের ৬৬টি জাতের উচ্চফলনশীল হাইব্রিড এবং মুক্তপরাগায়িত বীজ বাজারজাত করে আসছে।
এসিআই এগ্রিবিজনেসেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা (সিইও) ড. এফ এইচ আনসারী বলেন, বেসরকারী খাত এখন বীজ উদ্ভাবন ও উৎপাদনে এগিয়ে এসেছে। তারা মানসম্পন্ন বীজ বাজারে দিচ্ছে। সেখানে সরকারের সহযেগিতা প্রয়োজন।
যদিও বীজ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছিলেন, দেশের কৃষিকে এগিয়ে নিতে হলে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। উন্নত মানের বীজ কৃষকের কাছে পৌছাতে হবে। সে লক্ষে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি বেসরকারী খাতকে এগিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তাদের সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হবে। কৃষকের স্বার্থ রক্ষা এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা সরকার সব ধরনের উদ্যোগ নিবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন