সাতক্ষীরায় কিশোর ভান চালক শাহীন হত্যা প্রচেষ্টার ঘটনায় আটক মূল পরিকল্পনাকারি নাইমুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ন কবির এর আদালতে সে এই জবানবন্দি প্রদান করে। পরে বিকালে গ্রেফতারকৃতদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার ওসি রেজাউল ইসলাম জানান, কিশোর ভান চালক শাহীন হত্যা প্রচেষ্টার ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারি নাইমুলসহ তিনজনকে সোমবার জেলা ও জেলার বাইরের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, যশোরের কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের বাবর আলীর ছেলে ছিনতাই চক্রের প্রধান নাইমুল, সাতক্ষীরার ঝাউডাঙ্গা বাজারের বারেক আলী ও কলারোয়ার মির্জাপুর মোড়ের আরশাদ পাড় ওরফে নুনু মিস্ত্রি। এদের মধ্যে মূল পরিকল্পনাকারি নাইমুল সাতক্ষীরা অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ন কবির এর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে বিকালে তাদের তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জুন শুক্রবার ভাড়ায় যাওয়ার জন্য কয়েকজন চেনা অচেনা যাত্রী শাহীনকে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে যায়। কিশোর শাহীন তাদেরকে ইঞ্জিন চালিত ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়ার পথে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার ক্ষ্ণৃনগর জামতলায় পৌঁছালে যাত্রীবেশী দুর্বৃত্তরা পিছন দিক থেকে তার মাথায় ধারালো দায়ের কোপ বসিয়ে দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় সে মাটিতে পড়ে গেলে দুর্বৃত্তরা তার ভ্যানটি নিয়ে চম্পট দেয়। পুলিশের সহায়তায় স্থানীয়রা শাহীনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। অবস্থার অবনতি হতে থাকলে তাকে পাঠানো হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে অবস্থা ক্রমাবনতি হতে থাকায় শনিবার বিকালে শাহীনকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে রাতেই তার মাথায় অস্ত্র পাচার করা হয়। বর্তমানে শাহীন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন