গত ২২ নভেম্বর, কুমিল্লার পাথুয়ারিয়াপাড়ায় নিজ অফিসে বন্দুকধারীদের গুলিতে কাউন্সিলর সোহেল এবং তার এক সহযোগী নিহত হন।কুমিল্লার সিটি কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল হত্যা মামলার অন্যতম এক আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তিন দিনের রিমান্ড শেষে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয় বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২৩ বছর বয়সী হোসেন রিশাতের জবানবন্দি রেকর্ড করেন বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিদর্শক পরিমল দাস। পরিমল দাস জানান, রিশাত তার জবানবন্দিতে স্বীকার করেছে, হত্যাকাণ্ডে সে অংশ নিয়েছিল এবং অস্ত্র সরবরাহ করেছিল।
এর আগে সোমবার নাজিম ও রিশাত নামে দুই সন্দেহভাজন হিট স্কোয়াড সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে মামলায় তাদের আসামি করা হয়নি। মঙ্গলবার কুমিল্লার আদালত তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরদিন, ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আরেক আসামি নাজিম।
গত ২২ নভেম্বর, পাথুয়ারিয়াপাড়ায় নিজ অফিসে বন্দুকধারীদের গুলিতে কাউন্সিলর সোহেল এবং তার এক সহযোগী নিহত হন। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হন। পরে নিহত কাউন্সিলরের ছোট ভাই সৈয়দ রুমন কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাত ১০ জনসহ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। অন্যদিকে, পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন প্রধান আসামি শাহ আলম, সাব্বির হোসেন, সাজন মিয়া এবং আরেক আসামি রনি এখনও পলাতক রয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন