পার্টি-প্রেমী শারজার যুবরাজ শেখ খালিদ ইবন সুলতান আল কাসিমি লন্ডনে মারা গেছেন। গত ১ জুলাই সোমবার সকালে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। সাতটি আমিরাত নিয়ে উপসাগরীয় তেলসমৃদ্ধ দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) গঠিত। শারজা আমিরাত তার অন্যতম।
গত বুধবার ব্যাপক আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে শারজায় দাফন করা হয়। লন্ডনের দ্য সান সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়, মাদক-ব্যবহৃত এক পার্টির পর শেখ খালিদ তার নাইটসব্রিজ পেন্টহাউসে মারা যান।
৩৯ বছর বয়স্ক ফ্যাশন ডিজাইনার প্লেবয় শেখ খালিদ ছিলেন শারজা আমিরাতের শাসক ও ইউএই ফেডারেল সুপ্রিম কাউন্সিলের সদস্য শেখ সুলতান বিন মুহাম্মদ আল কাসিমের দ্বিতীয় পুত্র। তার বড় ভাই শেখ মোহাম্মদ বিন সুলতান আল কাসিমি ১৯৯৯ সালে অতিরিক্ত পরিমাণ হেরোইন সেবন করে মারা যাওয়ার পর শেখ খালিদকে যুবরাজ ঘোষণা করা হয়। উক্ত শেখ মোহাম্মদ সাসেক্সে একটি ৩০ লাখ পাউন্ড মূল্যের ম্যানোরে (বাড়ি) বাস করতেন।
দ্য সান অজ্ঞাতনামা সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, পুলিশ আল কাসিমির বাড়িতে কিছু পরিমাণ এ ক্লাস মাদক পেয়েছে। সূত্র বলে, ধারণা করা হচ্ছে যে, বাড়িতে একটি পার্টি অনুষ্ঠিত হয়। আগত অতিথিরা মাদক গ্রহণ করে ও যৌনকর্মে লিপ্ত হয়। সন্দেহ করা হচ্ছে যে, শেখ খালিদ মাদক নেয়ার কারণেই হঠাৎ করে মারা যান। পুলিশি তদন্তের সাথে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু এবং বাড়ির কর্মচারিদের মুখ খুলতে নিষেধ করা হয়েছে।
প্লেবয় যুবরাজ আল খালিদ লন্ডনের সেন্ট মার্টিনস-এ স্থাপত্য ও ফ্যাশন ডিজাইনে পড়াশোনা করেন। ২০১৬ সালে তিনি কাসিমি নামে ফ্যাশন ব্রান্ড প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি লন্ডন ও প্যারিস ফ্যাশন সপ্তাহগুলোতে তার সংগ্রহ প্রদর্শন করেন।
কাসিমি ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে বলা হয়, সামাজিক-রাজনৈতিক বিষয়গুলোতে সংবেদনশীল অনুভ‚তি সত্তে¡ও খালিদ তার দৃঢ়তার জন্য প্রশংসিত ছিলেন। তার লক্ষ্য ছিল সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক আবহ স্পন্দিত সুন্দরভাবে তৈরি সামগ্রী সজ্জিত একটি বিশ^। গোয়েন্দারা এ নতুন ট্র্যাজেডিকে অব্যাখ্যাত বলে মনে করছেন।
খালিদের পিতা শারজায় তিনদিনের সরকারি শোক পালনের কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, তার ছেলে এখন আল্লাহর হেফাজতে আছে। আমিরাতি শাসকদের জন্য খারাপ সময় যাচ্ছে। ডেইলি বিস্ট জানায়, গত সপ্তাহে দুবাইর শাসকের স্ত্রী প্রিন্সেস হায়া তাকে ত্যাগ করে চলে যান। এখন তিনি লন্ডনে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন