ট্রানজিট সুবিধায় আনুষ্ঠানিকভাবে মংলা বন্দর ব্যবহার শুরু করতে আগ্রহী নেপাল। গত বুধবার বিকেলে দেশটির ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ধান বাহাদুর ওলি বন্দর পরিদর্শন করেন। এ সময় নিয়মিতভাবে বন্দর ব্যবহারের আগ্রহ দেখালেও কবে থেকে তা শুরু হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি তিনি। এর আগে গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে এ বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি করে দেশটি।
নেপাল রাষ্ট্রদূতের বন্দর পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন বন্দর কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আলী। পরে শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বন্দরের বিদ্যমান সুযোগ সুবিধা উপস্থাপন করেন বন্দরের সহকারী ট্রাফিক ম্যানেজার মোহাম্মদ সোহাগ। বন্দরের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আলী জানান, নেপাল পুরোপুরিভাবে ট্রানজিট সুবিধা নিয়ে মংলা বন্দর ব্যবহার করতে চাইলে সব সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ধান বাহাদুর ওলি বলেন, মংলা বন্দরের সুযোগ সুবিধা বেশ ভালো, নেপালের ব্যবসায়ীরাও সন্তুষ্ট। তবে কবে থেকে নেপাল বন্দর ব্যবহার শুরু করবে তা সরকার ও ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্ত। ঢাকায় ফিরে শিগগিরই বন্দরের সুযোগ সুবিধার বিষয়ে সরকারকে অবহিত করবেন বলেও তিনি জানান।
মংলা বন্দরের সহকারী ট্রাফিক ম্যানেজার মোহাম্মদ সোহাগ জানান, এই বন্দরটি ছিল এক সময় অনুন্নত। জাহাজের আগমন ছিল খুবই কম। কিন্তু সুযোগ সুবিধা আর পরিধি বেড়ে যাওয়ায় এখন বন্দরটি একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বাড়ছে দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের আগমন। আগে জাহাজের সাথে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা অর্ধাহারে অনাহারে দিন যাপন করত। এখন জাহাজের আগমন বাড়ার সাথে সাথে শ্রমিকদের কর্মচাঞ্চল্যও বেড়ে গেছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রতিবেশী ভারত, নেপাল এবং ভুটানের সঙ্গে ট্রানজিট চুক্তি সই করে বাংলাদেশ। এর এক মাস পর ট্রানজিট সুবিধায় মংলা বন্দর ব্যবহার করে নেপাল। চীন থেকে আমদানি করা সার এ বন্দরের মাধ্যমে খালাস করে নেপালে নিয়ে যাওয়া হয়। সব মিলে ট্রানজিট সুবিধায় ৬০ হাজার ৩০০ টন পণ্য হ্যান্ডলিং করে।
তবে বন্দর ব্যবহারকারীরা মনে করেন যথেষ্ঠ সুযোগ সুবিধা না থাকায় এবং হয়রানির শিকার হওয়ায় দেশিয় ব্যবসায়ীরা মংলা বন্দরের চেয়ে চট্টগ্রাম বন্দর বেশি ব্যবহার করছে। এর মধ্যে অন্য দেশকে যদি মংলা বন্দর ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে হ-য-ব-র-ল অবস্থা হবে মংলা বন্দরের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন