শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

সাতষট্টিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রাবি সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৭ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

‘শিক্ষা শান্তি প্রগতির ধারা আজও আমাদের সাথি, অবিরাম এই চলার ছন্দে আমরা অলোর জ্ঞাতি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে নানা অয়োজনে মধ্যে দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ৬৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে ৬৭ বছরে পা রাখলো এই বিশ্ববিদ্যালয়। জ্ঞান, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ও প্রযুক্তি সবক্ষেত্রেই বিগত দিনগুলোর অর্জনকে সামনে নিয়ে আগামীর উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় জোহা চত্বরে শনিবার সকাল থেকেই স্ব স্ব ব্যানারে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন আবাসিক হল ও বিভাগ সমূহ।
পরে সকাল ১০টায় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হয় মূল আয়োজন। সিনেট ভবনের সামনে বৃক্ষরোপন শেষে বেলুন-ফেস্টুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন ঘোষণা করেন রাবি ভিসি প্রফেসর এম আব্দুস সোবহান।

উদ্বোধন শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ভিসি বলেন, একবিংশ শতাব্দীর পৃথিবী খুব চ্যালেঞ্জিং। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকতে পারে না। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশ্বমানের নাগরিক তৈরি হবে। যারা দেশ ও জাতির কল্যাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। বর্তমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরাজমান শিক্ষা বান্ধব পরিবেশ বজায় রাখা ও গবেষণায় উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাজ করে চলছে। তিনি আরও বলেন, আশা করি এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আমাদের মধ্যকার দীনতা, হীন্যতা দূর করে কর্মে প্রেরণা যোগাবে এবং সূদৃঢ় করবে। রাজশাহী বিশ্বববিদ্যালয় জ্ঞানার্জন ও মানবকল্যাণে সম্মিলিত অবদান রাখবে।
বক্তব্য শেষে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা। দিবসটি উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ইতিহাস, ঐতিহ্যে ও সংগ্রামের ধারক এই বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বদরবারে প্রতিষ্ঠিত হোক অনন্য মর্যাদায় এই প্রত্যাশা সবার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাবি প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা, চৌধূরী মো. জাকারিয়া, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. এম এ বারী, প্রক্টর প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান, ছাত্র-উপদেষ্টা প্রফেসর ড. লায়লা আরজুমান বানু প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন