বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

মীরসরাইয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

মীরসরাই (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ জুলাই, ২০১৯, ১১:১৭ এএম

মীরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নে যুবককে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টার সময় উপজেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন ১ নং করেরহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ অলিনগর গ্রামের চায়নার বাড়ীর সামনে ঘটনার সূত্রপাত হয়। এঘটনায় নিহত মীর হোসেন (২৮) দক্ষিণ অলিনগর গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। নিহতের পিতা ফজলুল হক বলেন, গত ১ লা জুলাই অলিনগর এলাকার জনৈক রবিউল হোসেন ভুট্টুর সাথে ইয়াবা সেবন নিয়ে তার ছেলে মীর হোসেনের কথাকাটি ও মারামারি হয়। এঘটনায় ভুট্টু আহত হয়। পরদিন ভুট্টুর লোকজন মীর হোসেনের বাবা ফজলুল হককে তুলে নিয়ে মারধর করে। তিনিও হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদিকে ওই মারামারির ঘটনায় ভট্টু বাদী হয়ে জোরারগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।সেই অভিযোগের আলোকে গত শুক্রবার থানায় একটি সালিশ বৈঠক হয়। এসময় ফজলুল হককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকাও তিনি পরিশোধ করেন। এদিকে শনিবার ভুট্টু মীর হোসেনকে মুঠোফোনে বলেন, ঝামেলা শেষ হয়ে গেছে তুই অমুখ (অজ্ঞাত) স্থানে আয়। রবিবার সকালে মীর হোসেন সেখানে গেলে ভুট্টু ও তার লোকজন মীর হোসেনকে তুলে নিয়ে অলিনগর এলাকায় জনৈক চায়নার বাড়ীর সামনে গাছের সাথে রশি দিয়ে বেঁধে লাঠি ও রড় দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এতে সে রক্তাক্ত জখম হয়ে মাটিতে লুঠিয়ে পড়ে। এদিকে নিহতের বাবা স্থানীয় জোরারগঞ্জ থানা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে যেয়ে মীর হোসেনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে নেয়ার পথে বিকাল ৫টার সময় সে নিহত হয়। এদিকে সন্ধ্যায় থানা কার্যালয়ে নিহতের মা তাহেরের নেছা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, তার ছেলে মীর হোসেন তোয়ালে কারখানায় কাজ করে। গত সপ্তাহে ছেলে বাড়ীতে এসেছে। ছেলের সংসারে অবুঝ একটি ৮ বছরের মেয়ে এবং ৬ বছরের একটি ছেলে আছে। এসময় তিনি তার ছেলের উপর এই বর্বর নির্যাতনের বিচার দাবী করেন। এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত মোজাম্মেল হক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আমরা আহত মীর হোসেনকে উদ্ধার করে হাসাপাতালে নিয়ে যাই। চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেয়ার পথে বিকেলে সে মারা যায়। এই ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আমরা এই ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করেছি। তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সাথে জড়িত কি না তা যাচাই বাচাই করা হচ্ছে। নিহতের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেলে ময়না তদন্ত শেষে রাতে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন