প্রায় দুই বিঘা জায়গার উপর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অর্থায়নে ১২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়ামে নির্মিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের সুইমিং কমপ্লেক্স। যেখানে রয়েছে ৫০ মিটার দৈর্ঘ্য, ২২ মিটার প্রস্থ এবং ১.৮ মিটার গভীর ৮ লাইনের একটি অত্যাধুনিক পুল। সেইসাথে ড্রেসিং রুম, প্লেয়ার লাউঞ্জ, দুইপাশে গ্যালারীতে দেড় হাজার দর্শক আসন, বিদ্যুৎ সাবস্টেশন, পিউরিফিকেশন প্ল্যান্ট, ডিপ টিউবওয়েল, গাড়ি পার্কিং এবং সুদৃশ্য অফিস।
২০১৭ সালের ফেব্রæয়ারিতে এ কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ শুরু হলেও গত বছরের অক্টোবরে সিজেকেএস’র কাছে সম্পুর্ণ করে বুঝিয়ে দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম তথা দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে প্রথম বিশ্বমানের সুইমিং কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিতের সাত মাস পেরিয়ে গেলেও আজও উদ্বোধনের অপেক্ষায়।
এখনো হয়নি সিজেকেএস’র অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন ক্লাবের খেলোয়াড়, কর্মকর্তাবৃন্দ, চট্টগ্রামের ৪১টি ওয়ার্ডসহ জেলা-উপজেলার প্রশিক্ষণার্থীগণ কিভাবে প্রশিক্ষণ করবে তার চূড়ান্ত নীতিমালা। এছাড়া সুইমিং কমপ্লেক্সের জন্য নিয়োগ হয়নি লোকবলও। এভাবে পড়ে থাকলে চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের সাঁতারু গড়ে উঠবে কিভাবে। এছাড়া সাঁতার না জানার কারণে চট্টগ্রামে প্রতিবছর শিশু-কিশোর, তরুণ-যুবক পানিতে ডুবে অকালে মৃত্যুবরণ করেন। আগামী দিনে সুস্থ-সবল জাতি গঠনেও সাঁতারের ভুমিকা অপরিসীম।
জীবনের জন্য সাঁতার, বাঁচার জন্য সাঁতার শেখা এখন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। অথচ চট্টগ্রামবাসীর প্রাণের দাবি ছিল আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন সুইমিং পুল। এটি নির্মাণ করতে গিয়ে অনেক কাটখড়ও পোহাতে হয়েছে। সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ কাজটি সম্পন্ন হয়েছে। চট্টগ্রামবাসী এখন মুখিয়ে আছে এটির উদ্বোধন কবে, সাঁতারু তৈরি শুরু হবে কবে?
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন