কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছে। ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা,দুধকুমারসহ ১৬টির নদীর পানি অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বাড়ছে বানভাসী মানুষের সংখ্যা। নি¤œাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ায় লোকজন উঁচু বাড়ী, বাঁধ বা রাস্তায় আশ্রয় নিচ্ছে। পানিতে নলকুপ ডুবে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। এছাড়াও ল্যাট্রিন ডুবে যাওয়ায় বিপাকে পরেছে জলমগ্ন মানুষ। বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলায় প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলায় ৭৩টি ইউনিয়নের মধ্যে৬০টি ইউনিয়নের প্রায় ৩শ টি গ্রামের প্রায় আড়াই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়েছে পড়েছে। জেলায় ৭৭টিন অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে ৩ হাজার ৮০০ জন মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্রে জানাযায়, ধরলা নদীর পানি ব্রিজ পয়েন্টে ১০৫ সেন্টিমিটার, চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপূত্রের পানি ৯৮ সে.মিটার,তিস্তা রেল সেতু পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি ১৬ সেন্টিমিটার এবং নুনখাওয়ায় পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ৬৫ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রামে বন্যায় দেড় হাজার হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। এসব ফসলের মধ্যে রয়েছে আমনের বীজতলা, আউস, সবজি, কলা ভুট্রা ও পাট। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকার ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষকরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন