ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ব্রহ্মপুত্র নদে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উচাখিলা ইউনিয়নের মরিচারচর ও নুতনচর গ্রামের তিন শতাধিক পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। পানির প্রবল ¯্রােতে নয়টি পরিবারের ভিটেমাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
শুক্রবার সরেজমিন নতুনচর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ব্রহ্মপুত্রের নতুন চর এলাকায় উজানের ¯্রােতের ঢল নেমে আসায় বন্যাকবলিত হয়েছে পড়েছে পুরো চরের মানুষ অন্য দিকে ভাঙছে নদীর পাড়। ইতিমধ্যে হাবিবুর রহমান শাহীন, আমানুল্লাহ, শহীদুল্লাহ, আজিজুল, কদ্দুস, আইয়ুব আলী, মজিবুর, ছৈয়বআলী ও খোরশেদ আলীর বাড়ির নয়টি বসতঘরের ভিটে মাটিসহ গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও শত শত পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। বন্যা কবলিত এলাকায় গোখাদ্য বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। গৃহহীন পরিবারের লোকজন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। বানবাসি আবুল কাসেম মেম্বার জানান, পানিবন্দি পরিবার গুলোতে খাদ্য ও জ্বালানি সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক বলেন, প্রতিবার বন্যার সময়ে বাড়িঘর নদী গর্ভে বিলীন হয় এবং বাড়িঘর একস্থান থেকে অন্যস্থানে স্থানান্তর করতে হয়। এই দুর্ভোগ থেকে রক্ষাকল্পে নতুনচর গ্রামের পশ্চিম পাশে মূল নদের এক কি.মি. খনন করলে নদের গতিপথ পরিবর্তন হবে এবং পুরো মরিচরচর (নতুনচর) গ্রামের ৫ হাজার মানুষ নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পাবে।
শুক্রবার ইউএনও উম্মে রুমানা তুয়া, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানিয়া মুন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহম্মেদ কবীর হোসেন, পিআইও শফিকুল ইসলাম বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং প্রত্যেক পরিবারের মাঝে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ইতোমধ্যে বন্যাদুর্গত এলাকার প্রায় তিনশতাধিক পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হয়েছে। যাদের ভিটেমাটি বিলীন হয়েছে তাদের বিষয়ে বিশেষ বিবেচনা করা হবে ।##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন