গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে খামারের মাছ চুরির মামলায় জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে ৬ জনকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল রবিবার আদালত এ আদেশ দেন।
জানা গেছে, উপজেলার উত্তর কালির খামার গ্রামে স্থানীয় কিছু মৎস চাষি পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের পরিত্যক্ত জলাশয় শর্তসাপেক্ষে ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছিল। বর্তমানে বন্যায় ইজারাকৃত খামারের মাছ বের হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় চারপাশে নেট জাল দিয়ে ঘিরে রাখে মাছ চাষিরা। কিন্তু প্রতিহিংসা বশত: গত ১৮ জুলাই স্থানীয় কয়েকজন জোর পূর্বক মাছ ধরে নিয়ে যায় এবং খামারের নেট জাল খুলে দিয়ে যায়। এতে খামারের অনেক মাছ বের হয়ে যায়। এসময় মৎস্য চাষিরা বাঁধা প্রদান করলে তারা হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। বাধ্য হয়ে মৎস্য চাষি সমিতির সভাপতি মিনারা বেগম ৬ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার প্রেক্ষিতে শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেফতার করেন। এরা হলেন উত্তর কালির খামার গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে ছামছুল হক, মৃত জেহারত উল্ল্যার ছেলে নুরুল হক ও নুরুল হকের ছেলে বেলাল হোসেন। আটককৃতদের পুলিশ আদালতে প্রেরণ করলে বাকি ৩ আসামীসহ ৬ জন জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে সকল আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। বাকি ৩ আসামী হলেন উত্তর কালির খামার গ্রামের নুরুল হকের ছেলে বাবলু মিয়া, মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে শহিদুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলামের ছেলে মোস্তা মিয়া। কোর্ট জিআরও বেলাল হোসেন জেল হাজতে প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন