অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ রমজান এবং ঈদ উপলক্ষে নতুন মডেলের পণ্য বাজারে ছাড়ছে ওয়ালটন। এ সময়ে গ্রাহকদের বাড়তি চাহিদা পূরণে এরই মধ্যে পণ্যের মজুদ বাড়ানো হয়েছে। কারখানায় বাড়ানো হয়েছে উৎপাদন। বিপণন এবং সরবরাহে দেয়া হয়েছে অধিক গুরুত্ব। বিক্রয়োত্তর সেবায় এসেছে আধুনিকতা। সব মিলিয়ে গত বছরের তুলনায় এবার রোজার মাসে ৪০ শতাংশ বেশি পণ্য বিক্রির টার্গেট নিয়েছে দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতি বছর রোজা এবং ঈদের সময়টাতে ওয়ালটনের ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল ও হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস বিক্রি অনেক বেড়ে যায়। অনেক সময় ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। এজন্য এবার পর্যাপ্ত পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে নিজস্ব কারখানায় উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে পর্যাপ্ত মজুদ।
যথাসময়ে পণ্য সরবরাহে নেয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ। সংশ্লিষ্টদের সজাগ রাখা হয়েছে সারা দেশে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে।
জানা গেছে, ঈদ সামনে রেখে নতুন ৭ মডেলের রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজ ও ফ্রিজার বাজারে নিয়ে আসছে ওয়ালটন। তারা বাজারে এনেছে সর্বাধুনিক ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির ফ্রিজ। এর ফলে ফ্রিজের বিদ্যুৎ খরচ কমেছে বহুলাংশে। কম্প্রেসার হয়েছে দীর্ঘস্থায়ী। ইনভার্টার প্রযুক্তির ফ্রিজের ক্ষেত্রে কম্প্রেসারে ১০ বছরের গ্যারান্টি দেয়া হচ্ছে।
এছাড়া ওয়ালটন ফ্রিজে রয়েছে ন্যানো হেল্থকেয়ার টেকনোলজি, যা খাবার সতেজ ও এর প্রাকৃতিক গুণাগুণ অক্ষুণœ রাখে। ইতোমধ্যে, ইনভার্টার প্রযুক্তির বেশ কয়েকটি নো-ফ্রস্ট ফ্রিজ বাজারে ছেড়েছে এই দেশীয় ব্র্যান্ড। ফ্রিজগুলো হচ্ছে ৩২৩ লিটার, ৩৪৮, ৩৮৬, ৩৯৬, ৪৩০, ৫১২, ৫২৬ ও ৫৮৫ লিটার ধারণক্ষমতার। প্রাপ্ত তথ্য মতে, চলতি বছর আরো ১৮টি মডেলের ফ্রস্ট ও নো-ফ্রস্ট ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হবে। এরই মধ্যে ওয়ালটনের তিন দরজাবিশিষ্ট ৫২৬ লিটারের নো-ফ্রস্ট ফ্রিজটি শৌখিন গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, রোজা-ঈদে ফ্রিজ, টিভি, বেøন্ডার, জুসার থেকে শুরু করে সব ধরনের হোম অ্যাপ্লায়েন্সের বিক্রি বাড়ে ব্যাপক হারে। এবার গরম কিছুটা বেশি থাকায় এয়ারকন্ডিশনার, রিচার্জেবল টেবিল ফ্যান, সিলিং ফ্যান, বেøন্ডার, জুসার ইত্যাদির বিক্রি আরো বাড়বে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।
জানা গেছে, নিয়মিত গবেষণা এবং নতুন নতুন মডেলের পণ্য সরবরাহ, উৎপাদনে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, উচ্চ গুণগতমান, রুচিশীল ডিজাইন ও বৈচিত্র্যময় কালার, সাশ্রয়ী মূল্য, সহজ কিস্তি সুবিধা, আইএসও স্ট্যান্ডার্ড বিক্রয়োত্তর সেবা, দেশব্যাপী বিস্তৃত সেলস ও সার্ভিস নেটওয়ার্ক এবং সর্বোপরি স্থানীয় আবহাওয়া উপযোগী করে দেশেই তৈরি হয় বলে গ্রাহকদের আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে ওয়ালটন ব্র্যান্ড।
রোজা উপলক্ষে ইতোমধ্যে প্রায় দেড় লক্ষ ফ্রিজের মজুদ গড়েছে ওয়ালটন। বিনোদনের প্রধান মাধ্যম টেলিভিশনের চাহিদা মেটাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার এবং কারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে ওভারহেড কস্ট কমেছে বহুলাংশে। যার সুফল গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে চলতি বছর এলইডি টিভির দাম কয়েক দফা কমানো হয়েছে। ফলে ওয়ালটন এলইডি টিভির চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। রোজায় এলইডি টিভির সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ১৯ থেকে ৫৫ ইঞ্চি পর্যন্ত এলইডি টিভির উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন পণ্যের আরো নতুন কিছু মডেল বাজারে আনতে কাজ করছেন গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রকৌশলীরা।
ওয়ালটন বিপণন বিভাগের নির্বাহী পরিচালক এমদাদুল হক সরকার বলেন, গত বছরের তুলনায় এবারের রোজায় ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিন বলেন, গত কিছুদিনের বিক্রির প্রবণতা থেকে ধারণা করা হচ্ছে টার্গেটের চেয়েও বেশি বিক্রি হতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন