রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কক্সবাজারের দুর্যোগ কবলিত এলাকাগুলোতে কাজ করতে চায় জাইকা

বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার | প্রকাশের সময় : ২৩ জুলাই, ২০১৯, ১২:৪৪ পিএম

আঞ্চলিক দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে কক্সবাজারে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে সাহায্য সংস্থা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোপারেশন এজেন্সী ‘জাইকা’। এলক্ষে জাইকা প্রতিনিধি দল কক্সবাজার পৌর সভায় এক সেমিনারে অংশ নিয়ে জানান, কক্সবাজারের দুর্যোগ কবলিত এলাকাগুলোতে কাজ করতে চায় জাইকা।

ধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে সারাদেশের দুর্যোগ কবলিত এলাকাগুলোতে বড় পরিসরে কাজ শুরুর আগে কক্সবাজার পৌরসভার সাথে পাইলট প্রকল্প হিসেবে কাজ শুরু করতে চায়বলেও জানান জাপানি এই সাহায্য সংস্থা।

এ লক্ষ্যে-সোমবার বিকেলে পৌরসভা সম্মেলন কক্ষে “আঞ্চলিক দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে তথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের উপর ক্ষমতা বৃদ্ধি” শীর্ষক পৌরসভা আয়োজিত সেমিনারে জাইকার প্রতিনিধি দল এসব তথ্য জানান।
কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে অতিথি ছিলেন, জাইকা’র দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস প্রকল্প-২ এর উপ-পরিচালক হিরোমি ইনোয়ী, প্রকল্প কর্মকর্তা টাকুমি সুচেয়া, টাকেয়া কিমিও এবং প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. আনিসুজ্জামান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র-৩ শাহেনা আক্তার পাখি, কাউন্সিলর আক্তার কামাল আজাদ, মিজানুর রহমান, দিদারুল ইসলাম রুবেল, রাজ বিহারী দাশ, সালাউদ্দিন সেতু, কাজী মোরশেদ আহাম্মদ বাবু, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ইয়াছমিন আক্তার, পৌরসভার সচিব রাছেল চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুল আলম ও মেয়র পিএ রূপনাথ চৌধুরীসহ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে সাগর তীরের এই পর্যটন শহরের জানমাল সুরক্ষা, পরিবেশ ও প্রতিবেশকে সমুন্নত রেখে নগরবাসীকে উন্নত জীবন উপহার দেয়া এবং প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট দুর্যোগ ও পাহাড় ধ্বস রোধে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকায় রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণসহ বসবাসকারী স্থানীয়দের অন্যত্র সরিয়ে পুণর্বাসন করার মধ্যদিয়ে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চায় কক্সবাজার পৌরসভা। সে লক্ষ্যে পৌরসভার পক্ষ থেকে নির্মিত ৫ মিনিটের একটি তথ্যবহুল ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয় সেমিনারে।

অনুষ্ঠানে মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানি নেয়া বন্ধ হলে ভুমিধস যেমন রোধ হবে তেমনি পর্যটকসহ স্থানীয়রা পাবে সু-স্বাস্থ্যের নিশ্চয়তা। কেবল দুর্যোগ প্রতিরোধই নয়, দুর্যোগকালিন সময়ে আশ্রয় নেয়ার সাইক্লোন শেল্টারগুলোকেও আধুনিক স্থাপত্যের ছোঁয়ায় নির্মাণ করা গেলে বানিজ্যিক কমিউনিটি সেন্টার হিসেবেও সামাজিক নানা অনুষ্ঠান পালনে ব্যবহার করা সম্ভব হবে। যা আপদকালিন সময়ে আশ্রয় নেয়ার পাশাপাশি আয়বর্ধক প্রকল্পে পরিনত হবে এবং এ আয়ের সবটুকু দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসে ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
মেয়র মনে করেন, সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় জাইকার অর্থায়নে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে সুর্যাস্তের এই শহরে হবে নতুন দিনের সুর্যোদয়।
এর আগে সেমিনারের শুরুতে দাতা সংস্থা জাইকার প্রতিনিধিদের ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করেন মেয়র ও কাউন্সিলরবৃন্দ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন