নয়ন বন্ডের সঙ্গে আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির বিয়ের বিষয়টি এখনো রহস্য ঘেরা। মিন্নি এখনো নয়নের সঙ্গে তার বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করছেন। একইসঙ্গে বলছেন, তিনি নয়নের বাড়িতে থাকা বা যাওয়া-আসা করতেন না। যদিও বিয়ের কাজী, নয়নের মা ও নিহত রিফাত শরীফের বাবার দাবি করেছেন নয়ন-মিন্নির বিয়ে হয়েছিল।
নয়ন বন্ডের মায়ের দাবি, ‘মিন্নি নয়নের বউ হিসেবেই বাড়িতে অবাধে যাতায়াত করত। নয়ন-মিন্নি এতটাই ঘনিষ্ঠ ছিল যে, তারা রীতিমতো ছোটখাটো সংসারও গড়ে তুলেছিল।’ মিন্নির সঙ্গে নয়নের সম্পর্কের নানা স্মৃতিও প্রতিবেদককে দেখান নয়নের মা।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, নয়নের বাড়ি থেকে অন্তত ২০ ধরনের আলামত নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে আছে নয়নের সঙ্গে মিন্নির ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের বেশকিছু ছবি, মিন্নির ব্যবহৃত লিপস্টিক, চিরুনি, চিরুনিতে আটকে থাকা মিন্নির চুল, কামিজ, চুলের ক্লিপ, ফেসপাউডার, চোখের ভ্রূতে ব্যবহৃত আই ব্রো, সিমকার্ড এবং কয়েকটি মোবাইল ফোনসেট।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বরগুনা পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, নয়নের সঙ্গে মিন্নির ঘনিষ্ঠতা ও বিয়ে প্রমাণ করতেই এসব আলামত জব্দ করা হয়েছে। নয়নের বাড়ির চিরুনিতে আটকে থাকা মিন্নির চুল ও তার ব্যবহৃত কয়েকটি জিনিস ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য সিআইডির ল্যাবে পাঠানো হবে।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, মিন্নি যেহেতু বারবারই নয়নের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে আসছেন তাই কিছু অকাট্য প্রমাণের প্রয়োজন। রিফাতের সঙ্গে বিয়ের পরও নয়নের সঙ্গে মিন্নির ঘনিষ্ঠতা প্রমাণ করা গেলে রিফাত হত্যার জট অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে।
অকাট্য প্রমাণ হাতে এলে তখন প্রমাণ করা সহজ হবে ঘটনার পর নিজেকে আড়াল করতেই কিভাবে মিন্নি একের পর এক মিথ্যা কথা বলে গেছেন। এমন মন্তব্য তদন্ত সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তার।
নয়নের বাড়ি থেকে আলামত সংগ্রহের বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর হুমায়ুন কবির সোমবার যুগান্তরের বরগুনা দক্ষিণ প্রতিনিধি এম মজিবুল হক কিসলুকে বলেন, আমরা বেশকিছু আলামত নয়নের বাড়ি থেকে সংগ্রহ করেছি।
এগুলোর মধ্যে একটি কামিজ, মিন্নির লেমিনেটিং করা একটি ছবি, চুল পেঁচানো চিরুনি ও এম প্লাস এন খোদাই করা সামুদ্রিক ঝিনুক রয়েছে। এই ঝিনুকটি মিন্নি ও নয়ন কুয়াকাটা বেড়াতে গিয়ে সংগ্রহ করেছিলেন। মামলার আলামত হিসেবে এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন