পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ ও স্পিন বোলিং কোচ সুনিল জোশিকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর থেকেই আলোচনা শুরু হয়েছিল। কে হচ্ছেন বাংলাদেশ দলের নতুন বোলিং কোচ? তালিকায় থাকা অনেকের নামই শোনা যাচ্ছিল। সাবেক শ্রীলঙ্কান পেসার চামিন্দা ভাসের কথা সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসলেও শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে বিসিবি দায়িত্ব দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেসার চালর্স ল্যাঙ্গাভেল্টকে। একই সঙ্গে স্পিন বোলিং কোচ সুনিল জোশির স্থালাভিষিক্ত হয়েছেন কিউই সাবেক স্পিনার ডেনিয়েল ভেট্টরি।
আগামী কিছুদিনের মধ্যেই রুবেল-মুস্তাফিজদের দায়িত্ব নেবেন চার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট। তার সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি করা হয়েছে। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সবশেষ খেলা এই পেসার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ছয় টেস্টে নিয়েছেন ১৬ উইকেট। ৭২ ওয়ানডেতে তার উইকেট ১০০টি। বাংলাদেশের বিপক্ষে চার ওয়ানডে খেলে নিয়েছেন আট উইকেট।
ল্যাঙ্গাভেল্টকে ২ বছরের জন্য পেলেও ভেট্রোরিকে পূর্ণ মেয়াদে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। চলতি বছর ভারত সফরের আগ থেকে শুরু করে ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত মোট ১০০ দিন কাজ করবেন ভেট্রোরি। পরে সুযোগ ও পরিস্থিতি বুঝে দুই পক্ষের সমঝোতায় চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোও হতে পারে।
এর আগে ক্যারিবিয় কিংবদন্তী পেসার কোর্টনি ওয়ালশ ২০১৬ সালে বাংলাদেশের বোলিং কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। গত তিন বছরে তার অধীনে পেস বোলাররা খুব একটা উন্নতি করতে পারেননি বলে তার চুক্তি আর বাড়ানো হয়নি। দুই কোচের নিয়োগের ব্যাপারে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘পেস বোলিং কোচ হিসেবে আমরা দক্ষিণ আফ্রিকার চার্লস ল্যাঙ্গাভেল্টকে বেছে নিয়েছি। তার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তিও হয়ে গেছে। আগামী ২ বছর কাজ করবেন তিনি। তবে ভেট্রোরির সঙ্গে এখনও চুক্তি হয়নি। মৌখিকভাবে তিনি রাজি হয়েছেন কাজ করতে। অচিরেই চুক্তি করে ফেলা হবে।’
অবশ্য প্রধান কোচ স্টিভ রোডসের সঙ্গে চুক্তিটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর। কিন্তু তার আগেই তাকে বিদায় বলে দেওয়া হয়। তবে এখন প্রধান কোচ কে হচ্ছেন সেটা এখনো ঠিক হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন