শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

বিআইবিএমে গবেষণা কর্মশালায় বক্তারা ব্যাংকারদের আইসিটিতে দক্ষতা বাড়াতে হবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০১৯, ৫:৫৮ পিএম

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) ‘ইউজ অব ইনফরমেশন টেকনোলজী ইন ইনহ্যান্সিং ইফিসিয়েন্সি অব ইন্টারনাল কন্ট্রোল সিস্টেমস’ শীর্ষক গবেষণা কর্মশালার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং খাতে তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুফল পেতে হলে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশপাশি ব্যাংকারদের তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে জ্ঞান এবং দক্ষতা বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে অভ্যন্তরিণ নিরীক্ষায় অটোমেশন ব্যবস্থা নিরীক্ষা কার্যক্রম আরও কার্যকর এবং ফলপ্রসু হবে।

সোমবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘ইউজ অব ইনফরমেশন টেকনোলজী ইন ইনহ্যান্সিং ইফিসিয়েন্সি অব ইন্টারনাল কন্ট্রোল সিস্টেমস’ শীর্ষক গবেষণা কর্মশালায় উপস্থাপিত গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এবং বিআইবিএম নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এস এম মনিরুজ্জামান।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিআইবিএম-এর সুপারনিউমারারি প্রফেসর এবং পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমদ চৌধুরী; বিআইবিএম-এর সাবেক সুপারনিউমারারি প্রফেসর ইয়াছিন আলি; বিআইবিএম-এর প্রফেসর এবং পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব। আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিতুর রহমান। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএম’র ড. মোজাফফর আহমদ চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক প্রফেসর ড. বরকত-এ-খোদা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের মহাপরিচালক মহা. নাজিমুদ্দিন। কর্মশালায় গবেষণা গবেষণা দলে অন্যান্যের মধ্যে রয়েছেন- বিআইবিএম-এর সহকারি অধ্যাপক ড. মো. মহব্বত হোসেন; বিআইবিএম-এর প্রভাষক রাহাত বানু; আল-আরাফাহ ব্যাংক লিমিটেড-এর সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট কামাল হোসেন, এফসিএ।

কর্মশালার উদ্বোধন করে এস এম. মনিরুজ্জামান বলেন, ব্যাংকিংকে আরও সহজ এবং গতিশীল করতে তথ্য প্রযুক্তির ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। ব্যাংকিং কার্যক্রম পুরোপুরি তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক হলে পরিদর্শন কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে। একই সঙ্গে ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের শাখা পর্যায় পর্যন্ত নজরদারী অনেক সহজ হবে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব সময়ই ব্যাংকিং অটোমেশনের জন্য কাজ করছে। এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট একটি গাইডলাইনও তৈরি করা হয়েছে।

মহা. নাজিমুদ্দিন বলেন, প্রকৃতপক্ষে এধরনের গবেষনা ব্যাংকিং সেক্টরের নীতি নির্ধারনে ও চিহ্নিত সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে। আমি আশাকরি, আজকের বিষয়টির উপর সবার অভিজ্ঞতা, ধারনা বিনিময় হবে এবং ভবিষ্যতে ব্যাংকের নীতি নির্ধারনের ক্ষেত্রে গবেষনাটি গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখবে।

ড. বরকত-এ-খোদা বলেন, সুশাসনের মাধ্যমে আইসিসি এবং আইটিকে ঠিক রাখতে হবে। এতে ব্যাংকিং পেশা আরও ফলপ্রসু হবে। ব্যাংকিং খাতে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসছে এজন্য দক্ষ কর্মী গড়ে তোলা প্রয়োজন। ব্যাংকর্মীদের প্রশিক্ষণের ওপর সর্বোচ্চ জোরারোপ করতে হবে।

প্রফেসর হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, ব্যাংকিংয়ে আইটিকে আলাদা কোন বিভাগ বা উইং বলার সুযোগ নেই। সহসাই আইটি ব্যাংকিং খাতের অবিচ্ছেদ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং ব্যাংকিং ব্যবমসায় এর প্রয়োগ সুদূরপ্রসারী। আইটি ঝুঁকি কমাতে অনেক সাহায্য করে। আইসিসির দুর্বলতা ব্যাংকের অনেক অনিয়মের জন্ম দেয়। আইসিসিতে দক্ষ জনবল নিয়োগ প্রয়োজন এবং তাদেরকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে সকলের সহযোগিতা দরকার। এছাড়া এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে আইটি খাতের উন্নয়ন প্রয়োজন।

 

প্রফেসর ইয়াছিন আলি বলেন, ব্যাংকিং খাতে শুধু আইটি লোকজনের দক্ষতা থাকলে হবে না। সবার আইটি সম্পর্কে ন্যূনতম জ্ঞান না থাকলে ব্যাংকিং খাতের প্রসারণ হবে না।

মো. মনিতুর রহমান বলেন, ব্যাংকের অভ্যন্তরিণ নিরীক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি প্রযুক্তিভিত্তিক করতে হবে। ব্যাংকিং খাতে অভ্যন্তরিণ নিরীক্ষাকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। এতে ব্যাংকিং খাত আরও এগিয়ে যাবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন